ফাইল চিত্র।
এই মুহূর্তে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর যে সম্ভাবনাটুকু চোখে পড়ছে, আগামী দিনে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ তাতে জল ঢালতে পারে বলে আশঙ্কা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের। সম্প্রতি আরবিআইয়ের ঋণনীতি কমিটির বৈঠকে এই ঝুঁকি সম্পর্কে সাবধান করেছেন তিনি। শুক্রবার প্রকাশিত ওই বৈঠকের সংক্ষিপ্ত কার্যবিবরণীতে জানা গেল এ কথা। সেখানেই ডেপুটি গভর্নর এম ডি পাত্রের দাবি, অতিমারির জেরে দেশের যে উৎপাদন হারিয়ে গিয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করতে লেগে যেতে পারে কয়েক বছর। এর আগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, অন্তত এক বছর তো লাগবেই অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়াতে।
এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত দু’টি ঋণনীতিতে সুদ একই রাখলেও, চাহিদা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে তা আরও কমানোর দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। তবে শক্তিকান্তের বার্তা, এটা নির্ভর করবে মূল্যবৃদ্ধি উপরে। কারণ ওই হার এখন সহনসীমার বেশ খানিকটা উপরে। বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধি আমাদের আশা অনুযায়ী মাথা নামালে আগামী দিনে সুদ কমানোর সুযোগ আছে। আর্থিক বৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে এই সুযোগকে বুঝেশুনে বুদ্ধি করে ব্যবহার করতে হবে।’’ উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরে দেশে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ছুঁয়েছে ৭.৩৪%। অগস্টের ০.১৬% থেকে বেড়ে সেপ্টেম্বরে ১.৩২% হয়েছে পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও।