গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
করোনা সংক্রমণ রুখতে জোর দেওয়া হচ্ছে নমুনা পরীক্ষায়, চলছে সচেতনতা প্রচারও। কিন্তু দৈনিক সংক্রমণ ৯০ হাজারের গণ্ডি পার হচ্ছে প্রায় রোজই। একই সঙ্গে বাড়ছে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও।
বিশ্বে ভারতেই সব চেয়ে বেশি মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সংক্রমণে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও সুস্থ হয়ে ওঠার হিসেবে ভারত প্রথম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ লক্ষের বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে, যা রেকর্ড।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪,৬১২ জন করোনা-আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৪৩ লক্ষ ৩ হাজার ৪৩ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের হিসেব অনুযায়ী, ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৩ লক্ষ ১০ হাজার ৬৪৫ জন। করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। সে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৪২ লক্ষ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
স্বাস্থ্য মন্ত্রক বেশ কিছু দিন ধরেই বলে আসছে, সংক্রমণ যেমন বাড়ছে তেমনই করোনার কবল থেকে মুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। এমনকি, দৈনিক করোনা-আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা। আজ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত কাল দেশে ১২ লক্ষ ৬ হাজার ৮০৬টি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। গত ন’দিনে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটির মতো।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার ফলে করোনা-আক্রান্তদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাচ্ছে। চিকিৎসাও সঠিক সময় হচ্ছে, তাই সুস্থতার সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে।’’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে যত মানুষ করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন তার ৬০ শতাংশ মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে সংক্রমণ-সুস্থতায় আশার আলোর মধ্যেও উদ্বেগ মৃত্যু নিয়ে
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন আজ জানিয়েছেন, ভারতে সার্স-কোভ-২-এর যে স্ট্রেনটি মিলেছিল, তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত বড় কোনও মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটেনি। রাজ্যসভায় আজ এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে জানিয়েছেন, দেশে পিপিই এবং ভেন্টিলেটরের কোনও ঘাটতি নেই।