Coronavirus in India

করোনা রুখতে একসঙ্গে কাজ চান রাহুল

কেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বদল আসতে পারে বলে তাঁর অনুমান, তা নিয়ে রাহুল বিশদ ব্যাখ্যা না-দিলেও কংগ্রেস শিবিরের যুক্তি, ভারত-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়েই এ নিয়ে আলোচনা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৩:২০
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই

করোনা-সঙ্কটের পরে ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন রাহুল গাঁধীকংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির বক্তব্য, “এটার বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আগে করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করতে হবে। তবে চিন্তার কারণ নেই। ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যাতে বজায় থাকে, সেটা কী ভাবে নিশ্চিত করতে হবে, তা আমরা জানি।”

Advertisement

কেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বদল আসতে পারে বলে তাঁর অনুমান, তা নিয়ে রাহুল বিশদ ব্যাখ্যা না-দিলেও কংগ্রেস শিবিরের যুক্তি, ভারত-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়েই এ নিয়ে আলোচনা চলছে। নরেন্দ্র মোদীর মতো ‘জনপ্রিয় ও স্ট্রংম্যান’ ভাবমূর্তির রাষ্ট্রনেতারা লকডাউন করে করোনা-মোকাবিলা করতে চাইছেন। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশও নামানো হচ্ছে। কিন্তু যথেষ্ট সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের সার্বিক পরিকল্পনার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি অন্য রকম হলে সরকার আরও স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠতে পারে। অর্থনীতির দুরবস্থার ফলে নৈরাজ্য তৈরি হতে পারে। চরমপন্থা বাড়তে পারে।

রাহুল আজ সাংবাদিক বৈঠক করে যুক্তি দেন, লকডাউন কোনও সমাধান নয়। এটা ‘পজ় বাটন’-এর মতো। লকডাউন শেষ হলেই আবার ভাইরাস ছড়াবে। লকডাউন আসলে টেস্ট করার ক্ষমতা, ভেন্টিলেটরের মতো স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কিছুটা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ দেয়। যাতে সংক্রমণ বাড়লে তার মোকাবিলা করা যায়। রাহুলের মতে, “বড় অস্ত্র হল নমুনা পরীক্ষা। যথেষ্ট টেস্ট হলেই করোনাকে সামলানো যাবে।”

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনার হটস্পট কলকাতা, কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন-পুরসভা?​

আরও পড়ুন: কোভিড পরীক্ষায় আরও আগ্রাসী রাজ্য, এল নতুন নির্দেশিকা​

বিজেপির সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, তা হলে কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীরা কেন আগেভাগেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন?

এর আগে রাহুল তথা কংগ্রেস নেতারা সরকারের সমালোচনা করলে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেস অতিমারি নিয়েও রাজনীতি করছে। কিন্তু আজ রাহুল বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমার অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু আমি তু তু ম্যায় ম্যায়-এর মধ্যে জড়াতে চাই না। এখন সবাই মিলে কাজ করলেই সাফল্য মিলবে।”

কংগ্রেস প্রথম থেকেই বলছে, রাহুল ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম করোনা নিয়ে সতর্ক করলেও কেন্দ্র তাকে গুরুত্ব দেয়নি। মোদী সরকারের প্রস্তুতিতে খামতি থেকে গিয়েছে কি না, সেই প্রশ্নে রাহুলের জবাব, “আমি এখন কিছু বলব না। আগে করোনাকে হারানো হোক। কংগ্রেস গঠনমূলক পরামর্শ দেবে। সেগুলো শুনে সরকার কাজ করতে পারে। আমাদের কোনও কৃতিত্ব চাই না।”

প্রধানমন্ত্রীর জন্য রাহুলের পরামর্শ, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে জেলা স্তর অবধি সমস্যা বুঝে সেই মতো রণকৌশল তৈরি করতে হবে। রাহুল বলেন, “কিন্তু মোদীজির কাজ করার পদ্ধতি আলাদা। আমাদের সেই মতোই চলতে হবে।”

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement