ছবি: সংগৃহীত।
করোনার থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং অর্থনীতির মেরামতিই পাখির চোখ হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, ভবিষ্যতে করোনার মতো অতিমারির কবল থেকে বাঁচার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বুধবার একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতিতে গত ১ বছর ধরেই দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো-সহ একাধিক ক্ষেত্রই ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সে সব ক্ষেত্রগুলিকে চাঙ্গা করতে মেরামতি এবং প্রস্তুতি— এই দুই দাওয়াই জরুরি বলে মত প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “গত ১ বছর ধরেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার রেশ এখনও কাটেনি। তা সত্ত্বেও হতাশার ডুবে থাকার প্রয়োজন নেই। উল্টে মেরামতি এবং প্রস্তুতি— এই দুই স্তম্ভকে কেন্দ্রবিন্দু করা উচিত।”
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের চিকিৎসা পরিষেবা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ভঙ্গুর অবস্থা বার হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। এপ্রিল এবং মে মাসে কোভিড সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থাকায় দেশে অক্সিজেন সঙ্কট, হাসপাতালের শয্য়ার অপ্রতুলতার ছবিও ধরা পড়েছিল। তবে প্রায় ৫ সপ্তাহ আগে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর অবশেষে তা ক্রমশ কমছে। সংক্রমণ রুখতে দেশের একাধিক রাজ্যে ফের লকডাউনের পথে হাঁটায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নও। এই আবহে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং অর্থনীতি— দুই ক্ষেত্রকেই মেরামত করে যেতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “প্রস্তুতি বলতে আমি বোঝাতে চাইছি, পরবর্তী অতিমারি থেকে বিশ্বকে প্রস্তুত থাকার কথা। সঠিক জীবনযাত্রার মাধ্যমে পরিবেশের অবক্ষয় বন্ধ করা এবং সহযোগিতা, এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে শক্তিশালী হওয়া নিশ্চিত করা।”
দেশের অর্থনীতিকে মেরামত করার জন্য বিনিয়োগেরও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রতিভা, বাজার, মূলধন, ইকো-সিস্টেম এবং উদার সংস্কৃতি— ভারতের এই পাঁচটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে এ দেশে বিনিয়োগের জন্য বিশ্বকে আহ্বান জানাচ্ছি।”