Coronavirus in India

২০ তারিখের আগেই নতুন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র?

আজ রাহুল গাঁধী দাবি তুলেছেন, আয়ের দিক থেকে নীচের সারিতে থাকা ২০ শতাংশ মানুষকে নগদ টাকা দেওয়া হোক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩২
Share:

—ফাইল চিত্র।

লকডাউনের জেরে সঙ্কটগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দাওয়াই চূড়ান্ত করতে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

Advertisement

সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার আর্থিক প্যাকেজ নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেই ২০ এপ্রিল থেকে গ্রামীণ এবং শিল্প ও নির্মাণ ক্ষেত্রে কাজ শুরু করার ব্যাপারে বেশ কিছু ছাড় দেওয়ার কথা বুধবারই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সম্ভব হলে সেই ছাড় চালু হওয়ার আগেই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।

অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, প্রথম দফায় মূলত গরিব, প্রান্তিক মানুষকে সুরাহা দিতে ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার গরিব কল্যাণ প্রকল্প ঘোষণা হয়েছিল। এ বার আর্থিক প্যাকেজের লক্ষ্য হবে মূলত ছোট-মাঝারি শিল্প, বিমান, পর্যটন, হোটেল-রেস্তরাঁর মতো ক্ষেত্র, যেখানে করোনার ধাক্কা সব থেকে বেশি লেগেছে। তবে একবারে সমস্ত আর্থিক দাওয়াই ঘোষণা না-করে অর্থ মন্ত্রক ধাপে ধাপে এগোতে চাইছে। পাশাপাশি, এখনই বড় মাপের নীতিগত সিদ্ধান্ত বা কঠোর আর্থিক সংস্কারও করতে চাইছে না কেন্দ্র।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনার হটস্পট কলকাতা, কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন-পুরসভা?​

আরও পড়ুন: কোভিড পরীক্ষায় আরও আগ্রাসী রাজ্য, এল নতুন নির্দেশিকা​

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, আর্থিক প্যাকেজের পরিমাণ জিডিপি-র ৬ শতাংশ করা হোক। অর্থাৎ, প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু গরিব কল্যাণ প্যাকেজের পরিমাণ জিডিপি-র ১ শতাংশও নয়। কংগ্রেসেরও একই দাবি। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আর্থিক প্যাকেজের মোট পরিমাণ জিডিপি-র ৩ থেকে ৩.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। এর বেশি অর্থ ঢালতে হলে রাজকোষ ঘাটতি মাত্রাছাড়া হয়ে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে।

সরকারি সূত্রের খবর, আজ প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। সম্প্রতি সরকারের বিভিন্ন টাস্ক ফোর্স ও ক্ষমতাসম্পন্ন গোষ্ঠীগুলির সঙ্গেও মত বিনিময় করেছেন মোদী।

আজ রাহুল গাঁধী দাবি তুলেছেন, আয়ের দিক থেকে নীচের সারিতে থাকা ২০ শতাংশ মানুষকে নগদ টাকা দেওয়া হোক। অর্থ মন্ত্রকের খবর, ন্যূনতম আয়ের মতো কোনও প্রকল্পের কথা পরের ধাপে ভাবা হবে। আপাতত ছোট-মাঝারি শিল্পের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। কারণ রফতানিমূলক ক্ষেত্রের বড় অংশ ছোট-মাঝারি শিল্পের মধ্যে পড়ে। পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরাহা দিতেও ছোট-মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা দরকার। এই ধরনের শিল্পে ঋণের জোগান অব্যাহত রাখতে ১৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ গ্যারান্টি তহবিল তৈরি হতে পারে।

দফায় দফায় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কৌশলের সঙ্গে কার্যত একমত রাহুলও। তাঁর মতে, আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় একবারে সব গোলাবারুদ খরচ করে ফেললে হবে না। প্রাথমিক ধাক্কায় বেকারত্ব বৃদ্ধি, রোজগার কমে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হবে। কিন্তু এর পরে আরও বড় ধাক্কা আসবে। তা সামলানোর জন্যও গোলাবারুদ মজুত থাকা দরকার।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement