Coronavirus in India

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৯০০০

গত রবিবারের আগের রবিবার (২৯ মার্চ), সমস্ত রাজ্যের পরিসংখ্যানের নিরিখে দেশে মোট করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১০২৪।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩৯
Share:

ধারাবি এলাকায় হচ্ছে থার্মাল স্ক্রিনিং। —ছবি পিটিআই।

দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের চৌকাঠ থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজারে পৌঁছল মাত্র দু’সপ্তাহে! স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ বিকেলে জানায়, তখন থেকে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংক্রমিত হয়েছেন ৯০৯ জন। মৃত ৩৪ জন।

Advertisement

আক্রান্তের সংখ্যা এ ভাবে লাফিয়ে বাড়ার আশঙ্কার কথা মেনে নিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য, তৈরি থাকা। সংক্রমণ যদি লাফিয়ে বাড়তে থাকে, সে ক্ষেত্রে সরকারও অতিরিক্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।” চিন বা দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে সংক্রমণ শুরু হওয়ার খবরে উদ্বিগ্ন দিল্লি। তাই ভবিষ্যতে লকডাউন যদি তুলেও নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রেও কিছু দিন পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

গত রবিবারের আগের রবিবার (২৯ মার্চ), সমস্ত রাজ্যের পরিসংখ্যানের নিরিখে দেশে মোট করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১০২৪। আজ লব যদিও কেন্দ্রের হিসেব দিয়ে জানান, সে দিন মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ৯৭৯। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেবে আজকের তারিখে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ৮৪৪৭। মোট মৃত ২৭৩ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক রোজ বিকেলের সাংবাদিক বৈঠকে ‘গত ২৪ ঘণ্টার’ যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে, রাতের চূড়ান্ত হিসেব ধরলে অবশ্য বৃদ্ধির অঙ্কটা সামান্য আলাদা হবে।

Advertisement

দেশের প্রায় ৩৬৪টি জেলায় করোনা-রোগী মিলেছে বলে জানাচ্ছে মন্ত্রক। এমন জেলা সব চেয়ে বেশি উত্তরপ্রদেশে। তার পরেই তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্র। মোট রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্রই (যথাক্রমে ১৭৬১ ও ১২৭ জন), দ্বিতীয় দিল্লি (১০৬৯ ও ১৯ জন), তৃতীয় তামিলনাড়ু (৯৬৯ ও ১০ জন)।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৭৬৪ জন এবং তাঁদের ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে সাধারণ চিকিৎসাই করা হয়েছে। মন্ত্রকের বক্তব্য, ২০ শতাংশ রোগীরই শুধু অক্সিজেন দরকার হয়। সেই হিসেব মাথায় রেখেই পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। দেশ কতটা প্রস্তুত, সে বিষয়ে যুগ্মসচিব জানান, ২৯ মার্চের মোট সংক্রমণের হিসেব ধরলে ওই ৯৭৯ জনের মধ্যে ২০ শতাংশের অর্থাৎ ১৯৬ জনের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও অক্সিজেনযুক্ত শয্যার দরকার ছিল। সেই সময়েই সব রাজ্য মিলিয়ে ১৬৩টি সরকারি হাসপাতালে ৪১,৯০০ অক্সিজেন-যুক্ত বেড সংরক্ষিত ছিল। আজকের হিসেবে প্রায় ১৭০০ জনের (১৬৮৯) অক্সিজেন-যুক্ত শয্যার প্রয়োজন। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশের ৬০১টি হাসপাতালে ১.০৫ লক্ষ শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। দেশে গত কাল করোনা-সংক্রমিতদের জন্য ৫৮৬টি হাসপাতাল ছিল। আজ তা ৬০১ হয়েছে। এ ছাড়া সেনার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ১৬ হাজার শয্যা সংরক্ষিত আছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement