প্রতীকী ছবি।
রথযাত্রাকে সংক্রমণমুক্ত রাখতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েতদের ধারাবাহিক ভাবে কোভিড পরীক্ষা করিয়েছিল ওড়িশা সরকার। সে-যাত্রা মুখরক্ষা হয়। কিন্তু তার পরে কোভিড সংক্রমণের ঢেউ ধাক্কা মারছে শ্রীমন্দিরের কিনারে। ছ’মাস ধরে জগন্নাথ-দর্শন বন্ধ। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ভোগ বিলিও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। মন্দির সূত্রের খবর, ১০ হাজার সেবায়েতের মধ্যে ১৮৮০ জন এ পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত ১২ জন। এখনও আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক।
মন্দিরের সরকার-নিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তথা বর্ষীয়ান সেবায়েত (বড়গ্রাহী) রামচন্দ্র দয়িতাপতি বুধবার বলেন, ‘‘প্রসাদ বিলির সময়ে মুটিয়াদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা। মুটিয়া থেকে ভোগ রান্নার সূপকার অনেকেই আক্রান্ত। যা পরিস্থিতি, তাতে যে সেবায়েতদের পাঁচ বা সাত দিন অন্তর পালা পড়ত, তাঁদের এখন রোজ মন্দিরের কাজ করতে হচ্ছে।’’
রামচন্দ্রের এক ছেলে কোভিড আক্রান্ত হন। তা ছাড়া, ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্য মাধব পূজাপান্ডা এবং তরুণ সূপকার অনন্ত তিয়াড়িও কোভিড পজ়িটিভ বলে জানাচ্ছেন তিনি। মন্দিরের প্রবীণ দয়িতাপতি প্রেমানন্দ দাসমহাপাত্র সস্ত্রীক কোভিড পজ়িটিভ হয়ে সদ্য মারা গিয়েছেন। বছর ৪০-এর এক জন প্রতিহারীও মারা গিয়েছেন। ফলে সেবায়েত কুলে শোকের ছায়া। সদ্য কোভিডকে হারিয়ে সেরে উঠেছেন সেবায়েত রঘুনাথ গোছিকর। তিনি আবার পুরীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুলপান্ডা। জুলাইয়ে রথযাত্রা শেষে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা মন্দিরে ফেরার পরেই ভোগ বিলি চালু হয়। তা ফের স্থগিত রাখার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন সরকারি কর্তারা। রথযাত্রার ঠিক পরে মূলত ভিন্ রাজ্য থেকে আসা সেবায়েত বা তাঁদের আত্মীয়দের সূত্রে সংক্রমণ ছড়ালেও এখন তা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। ওড়িশার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব তথা মন্দির প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক সুরেশ মহাপাত্রের কথায়, ‘‘স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টিতে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে। মন্দিরের সেবায়েতদের জন্য দু’টি কোভিড কেয়ার সেন্টারও রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী, আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে