Coronavirus in India

Covid Case: দিল্লিতে ফাঁকা হচ্ছে হাসপাতাল, আড়াই মাস পর মুম্বইয়ে আক্রান্ত হাজারের নীচে

মুম্বই শহরে সংক্রমণ হ্রাস মহারাষ্ট্রের সংক্রমণকে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫৩ জন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২১ ১২:০৮
Share:

দিল্লির কোভিড নিরাময় কেন্দ্রে কমেছে রোগীর সংখ্যা। নিজেদের মধ্যে গল্প মেতেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি—পিটিআই।

রাজধানী দিল্লি এবং মুম্বইয়ে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমেছে। প্রায় আড়াই মাস পর মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের কম হল। একই ছবি দেখা গিয়েছে দিল্লিতেও। সেখানেও সংক্রমণ গত এক সপ্তাহ ধরে কমছে। যার জেরে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে রাজধানীতে। সক্রিয় রোগী কমতেই হাসপাতালগুলিতে ফাঁকা হচ্ছে শয্যা।

Advertisement

প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই দেশে কমছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত তিন দিন ধরে তা ৩ লক্ষের নীচে রয়েছে। এ মাসের শুরুর দিকেও মহারাষ্ট্রে রোজ আক্রান্ত হচ্ছিলেন ৫৫-৬০ হাজার মানুষ। গত সপ্তাহেই তা নেমে আসে ৫০ হাজারের নীচে। গত কয়েকদিনে তা আরও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৪৩৮ জন। মুম্বই শহরে সংক্রমণ হ্রাস মহারাষ্ট্রের সংক্রমণকে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫৩ জন। ২ মার্চের পর সেখানকার দৈনিক আক্রান্ত এতটা কম হল। আক্রান্ত কমলেও মহারাষ্ট্রে মৃত্যু কিন্তু বেড়েছে গত কয়েক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৯১ জনের।

এপ্রিলের শুরু থেকেই রাজধানীতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে শুরু করে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই তা ২৮ হাজার পার করে। মে মাসের প্রথম কয়েক দিন ২০ হাজারের বেশি ছিল সে রাজ্যের আক্রান্তের সংখ্যা। তবে তার পর থেকেই সংক্রমণ কমতে শুরু করে রাজধানীতে। গত সপ্তাহে তা নেমে আসে ১০ হাজারের নীচে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৮২ জন। সংক্রমণ কমতেই রাজধানীতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে। এখন দিল্লিতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬৩ জন। এর ফেলে হাসপাতালগুলিতে শয্যাও খালি হচ্ছে অনেক বেশি। যে দিল্লিতে আগের মাসেও শয্যা এবং অক্সিজেনের জন্য হাহাকার ছিল দিল্লি জুড়ে। মঙ্গলবারের তথ্য অনুসারে, দিল্লির সব হাসপাতাল মিলিয়ে ফাঁকা রয়েছে ১২ হাজার ৯০৭ শয্যা। যদিও সেখানকার ১৪ হাজার ৮০৫ শয্যা রয়েছে করোনা রোগীদের দখলে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement