Coronavirus in India

করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম, দাবি মন্ত্রকের

বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৫১৩ জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৫:৫৬
Share:

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৫১৩ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতে কোভিড-আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল মঙ্গলবার রাতেই। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিনও সেই পরিসংখ্যানই দিল। অর্থাৎ ভারতের সরকারি হিসেব মোতাবেকও দু’দিনের মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ পার করে ফেলল দেশ।

Advertisement

বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৫১৩ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৬৯ জন। অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯ হাজার ৪৪৭ জন। এই নিয়ে টানা সাত দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজারের উপরে রইল। এর সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৬৮ জনের মৃত্যুর সংখ্যা ধরলে মোট মৃত ৩৪ হাজার ১৯৩।

এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে সেই মহারাষ্ট্র। ২৮২ জন মারা গিয়েছেন সেখানে। কর্নাটকে ১০২, তামিলনাড়ুতে ৮৮, অন্ধ্রে ৫৮, উত্তরপ্রদেশে ৪১। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, মৃতদের মধ্যে ৭০ শতাংশেরই কোমর্বিডিটি ছিল। মন্ত্রকের তরফে এ দিন ফের জানানো হয়েছে, মৃত্যুহারে যথেষ্ট পিছনের দিকে রয়েছে ভারত। দেশে করোনায় মৃত্যুহার এখন ২.২৩ শতাংশ। পয়লা এপ্রিলের পর থেকে এটাই সর্বনিম্ন হার।

Advertisement

আরও পড়ুন: স্পুটনিক-মুহূর্ত, রাশিয়া ভ্যাকসিন আনবে অগস্টেই!

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

এর সঙ্গেই মন্ত্রক জোর দিতে চায়, সুস্থতার পরিসংখ্যানে। এ দিন করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার মোট সংখ্যা ১০ লক্ষ ছুঁইছুঁই— ৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৯। সুস্থ হওয়ার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৫১ শতাংশ।মৃত্যুহার কমা এবং সুস্থতার হার বাড়ার পিছনে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, ‘টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট’ কৌশল সুফল দিয়েছে। অর্থাৎ বেশি পরীক্ষা, রোগী শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসায় জোর। যেমন আইসিএমআর সূত্রে খবর, দেশ জুড়ে মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষা হয়েছে মোট ৪ লক্ষ ৮ হাজার ৮৫৫ জনের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

তার সঙ্গেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব, টানা ছ’দিন ধরে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও দেশে ৩০ হাজারের উপরে রয়েছে।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement