Coronavirus in India

পরীক্ষা কমতেই বাড়ল সংক্রমণের হার, স্বস্তি অবশ্য সুস্থতার হারে

সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড আক্রান্ত ১৩ হাজার ৭৮৮ জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ১১:৩৩
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

দেশে অনেকটা শিথিল করোনা সংক্রমণের থাবা। অন্তত গত কয়েক দিনের পরিস্থিতি তেমনটাই। সোমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজারের কিছু বেশি। সেই সঙ্গে রবিবারের তুলনায় মৃতের সংখ্যাও খানিকটা কম। কিন্তু আগের দনের তুলনায় এ দিন সংক্রমণের হার এক ধাক্কায় বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। তবে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় সুস্থতার হারে স্বস্তিদায়ক ভারতের অবস্থা।

Advertisement

সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড আক্রান্ত ১৩ হাজার ৭৮৮ জন। তার জেরে এই মুহূর্তে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৭৩ হল। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগী ২ লক্ষ ৮ হাজার ১২ জন।

নতুন সংক্রমিতের তুলনায় সোমবারও গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বেশি। এ দিন মোট ১৪ হাজার ৪৫৭ জন রোগী করোনা থেকে সেরে উঠেছেন বলে জানা গিয়েছে। দেশে মোট আক্রান্তের মধ্যে ১ কোটি ২ লক্ষ ১১ হাজার ৩৪২ জন রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৬.৫৯ শতাংশ। যা রবিবারের তুলনায় সামান্য বেড়েছে।

Advertisement

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আরও পড়ুন: কৃষি আইন প্রত্যাহার না হলে টিকা নয়, হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারী কৃষকদের একাংশের

আরও পড়ুন: আজ নন্দীগ্রামে সভা মমতার, ডাক নেই দুই অধিকারীর, যাবেন না তাঁরাও

রবিবার সারা দেশে ১৮১ জন করোনা রোগী মারা গিয়েছিলেন। সোমবার সেই সংখ্যাটা নেমে হয়েছে ১৪৫। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। কেরলের ২১, পশ্চিমবঙ্গে ১২ এবং উত্তরপ্রদেশে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেক রাজ্যে প্রাণহানির খবর নেই গত ২৪ ঘণ্টায়। করোনার জেরে দেশে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪১৯ জন।

প্রতি দিন যত জন রোগীর কোভিড পরীক্ষা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যা রবিবারের তুলনায় অনেকটাই কম। তার ফলে সংক্রমণের হারও আগের দিনের তুলনায় বেড়ে হয়েছে ২.৫২ শতাংশ। আগের দিন তা ছিল ১.৯৪ শতাংশ।

দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রতেই এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে মোট ৫০ হাজার ৪৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে ১২ হাজার ২৬৪ জন মৃত। কর্নাটকে করোনার প্রকোপে প্রাণ গিয়েছে ১২ হাজার ১৬৬ জনের। দিল্লিতে ১০ হাজার ৭৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৫৩ জনের।

গোটা দুনিয়ায় এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে শীর্ষস্থানে আমেরিকা। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লক্ষেরও বেশি। ১ কোটি ৫ লক্ষের বেশি আক্রান্ত নিয়ে ভারত দ্বিতীয় স্থানে। তবে সুস্থতার নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে এ দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থতার হার পৌঁছে গিয়েছে ৯৬.৫৯ শতাংশে।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement