গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আজ থেকেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। হটস্পটগুলিতে আরও কড়া নজরদারির কথা বলা হয়েছে। এ বার সেই অনুযায়ী চিহ্নিত হল হটস্পট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে সারা দেশে ১৭০টি জেলা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে করোনার নন-হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ২০৭টি জেলা।
অন্য দিকে দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার ছুঁইছুঁই। গত কালই দেশে ১০ হাজারের গণ্ডি পার করেছিল তা। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এক লাফে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে হাজারেরও উপর। সেই সঙ্গে সংক্রমণের জেরে মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১১ হাজার ৯৩৩। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৩ জন। অন্য দিকে, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশ জুড়ে ৩৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১১৮ জন।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের করোনা-পরিসংখ্যানে সবচেয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যের পাশাপাশি দিল্লি এবং তামিলনাড়ুতেও সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এই তিন রাজ্য ছাড়া রাজস্থানে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। তবে চিকিৎসকরা এ-ও জানিয়েছেন যে, দেশ জুড়ে পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। এর ফলে নতুন আক্রান্তের সন্ধান মিলছে।
মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই আড়াই হাজারের গণ্ডি ছা়ড়িয়েছে। বাণিজ্য নগরীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৬৮৭। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭৮ জনের। এই পরিসংখ্যানের পাশপাশি কেন্দ্র তথা উদ্ধব ঠাকরে সরকারের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরে। তবে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫৯ জন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে আরও ১০ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার রিপোর্ট এসেছে। ওই হাসপাতালের এর আগে তিন জন করোনা-আক্রান্ত কোয়রান্টিনে ছিলেন। তাঁদের পাশাপাশি এই ১০ জনকেও কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই তিন জনের সংস্পর্শে আসার জেরে চিকিৎসাকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ওই হাসপাতালের মোট ৩৫ জন কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানানো হয়েছে। তাঁরা ওই হাসাপাতালেই চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: কিছু ছাড় মিললেও, ৩ মে পর্যন্ত ঘরেই বন্দি গোটা দেশ
অন্য দিকে, এ দিন সংক্রমণের জেরে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে তিনটি এলাকায় নতুন করে করোনা-সংক্রমণের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সংক্রমণ রুখতে ওই তিন এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘খেতে পাচ্ছি না, আরও ১৯ দিন কী ভাবে কাটাব’
মহারাষ্ট্রের মতোই দিল্লিতে করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজধানীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫৬১। সংক্রমণের জেরে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। অন্য দিকে, তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২০৪ জন। গত কালের পর ওই রাজ্যে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ১২।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)