'বারান্দা নেই'। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
রবিবার সকাল সাতটা থেকে রাত্রি ন’টা পর্যন্ত জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী আবেদন করেছেন, ওই দিন বিকেলে সবাই থালা বাজিয়ে বা হাততালি দিয়ে, যাঁরা আমাদের জীবন রক্ষা করছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে। প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনের প্রশাংসাও যেমন হচ্ছে, তেমনি অনেক নেটাগরিক কটাক্ষও করেছেন।
মুম্বইয়ের কয়েকজন নেটাগরিক যেমন লিখেছেন, তাঁদের বারান্দা নেই, তাহলে তাঁরা থালা নিয়ে কোথায় যাবেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শুধু বারান্দার কথা বলেননি, দরজা, জানালার কাছে গিয়েও এই ধন্যবাদ জ্ঞাপনের কথা বলেছেন।
অনেকেই আবার প্রধানমন্ত্রীর এই তালি দেওয়ার আইডিয়াকে কটাক্ষ করেছেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র একটি লিঙ্ক পোস্ট করে তাঁরা লিখেছেন, ১৪ মার্চ স্পেন ও ইটালিতে মানুষ বারান্দায় এসে এমন হাততালি দিয়ে চিকিত্সক, চিকিত্সা কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তাই এই আইডিয়া ধার করা।
আরও পড়ুন: বার বার হাত ধুচ্ছে প্রাণীরাও, করোনা সতর্কতায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে বার্তা
দেখুন সেই পোস্ট:
অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এমন একদিনের জন্য সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে কী হবে?’ নেটাগরিকরাই আবার এর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস খোলা জায়গায় ১২ ঘণ্টাতেই মারা পড়ে, তাই ১৪ ঘণ্টা ঘর থেকে কেউ না বেরলে বাইরে যে জীবাণু রয়েছে সেগুলি কারোকে আক্রমণ করতে পারবে না, নষ্ট হয়ে যাবে। ভেবে চিন্তেই এই পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে’। যদিও এই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ এখনও সামনে আসেনি। তাই এই দাবি সঠিক বলে মেনে নেওয়ার এখনও কোনও কারণ নেই।
আরও পড়ুন: মৃত্যু মিছিলের প্রতিফলন সংবাদপত্রে, ১০ পৃষ্ঠা জুড়ে শুধুই মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন!
দেখুন সেই পোস্ট:
প্রধানমন্ত্রী শুধু রবিবারই নয়, করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ৬৫ বছরের বেশি প্রবীণ এবং ১০ বছরের কম বয়সি শিশুদের একেবারেই বাড়ির বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দিয়েছেন।