সংসদের বাইরে চলছে সাফাই। ছবি: পিটিআই
করোনা আতঙ্কের ছায়া এ বার পড়ল লোকসভার অধিবেশনেও। সোমবার সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এ দিন সংসদে অর্থবিল পাশের পরই স্থগিত করে দেওয়া হয় অধিবেশন।
দাবিটা উঠছিল অনেক দিন ধরেই। করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশের মধ্যে ৭৫টি জেলায় ইতিমধ্যেই লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতি দিন যেখানে পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষের যাতায়াত সেই সংসদের ছবিটা কেমন? এ দিনও পুরোদমে বসেছিল অধিবেশন। কিন্তু দুপুরেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু জানিয়ে দেন, এ দিনের কাজ শেষ হলেই স্থগিত করে দেওয়া হবে অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা করা রবিবারের ‘জনতা কার্ফু’ পালনে সাধারণ মানুষ ‘ইতিবাচক সাড়া’ দিয়েছে বলেও জানান বেঙ্কাইয়া।
লোকসভার ছবিটাও ছিল এমনই। এ দিন অর্থ বিল ২০২০ উত্থাপিত হয়। এ দিন আলোচনা শুরু হয়। সেই সময় লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী দাবি তোলেন, করোনা অতিমারিতে বিপর্যয় রুখতে গরিব ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হোক। এর পর অবশ্য ওই বিলটি পাশ হয়ে যায়। লোকসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা করেন স্পিকার ওম বিড়লা।
আরও পড়ুন: লকডাউনে নিয়ম ভাঙলে জেল, করোনা নিয়ে এ বার আরও কড়া সরকার
গত ১৭ মার্চ, লোকসভার অধিবেশন চলাকালীনই সংসদ বন্ধের দাবি তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কিন্তু সংসদের কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ নিয়ে সৌগত রায়ের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথাও বলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক দিনে গোটা দেশেই করোনা-পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এই মুহূর্তে সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চারশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। তৈরি হয়েছে উদ্বেগ ও আশঙ্কার আবহ। দেশের ৭৫টি জেলায় লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই সংসদের বাজেট অধিবেশন স্থগিত রাখার দাবি উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ দিনও সেই দাবি আরও জোরাল হয় সংসদের দুই কক্ষেই।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত বলি গায়িকার সঙ্গে একই হোটেলে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার গোটা দল!