এ ভাবেই লকডাউন অমান্যকারীদের শাস্তি দিয়েছে জব্বলপুর প্রশাসন।ছবি-এএফপি।
চারজনের শরীরে মার্চে মিলেছিল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। তার পর থেকেই মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর শহর জুড়ে লকডাউন জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা সকলকে খুঁজে বার করে পাঠানো হয় হোম কোয়রান্টিনে। গত ১২ দিনে সেখানে নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এই সাফল্যে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন দাবি করছে, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের চক্র ভাঙতে সমর্থ হয়েছেন তাঁরা।
মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জব্বলপুর। মার্চে সেখানে চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে চারজনের দেহে। তাঁদের মধ্যে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী, তাঁর স্ত্রী ও দুবাই ফেরত মেয়ে ছিল। জার্মানি থেকে ফেরা একজন ছাত্রের শরীরেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল।
২০ মার্চ তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই ২০ লক্ষের শহরে লকডাউন জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। সেখানকার কালেক্টর ভরত যাদব, ওই চারজনের সংস্পর্শে আসা সকলকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। সেই মতো পুলিশ ও গোয়ান্দারা খুঁজে বের করে সকলকে। তাঁদের মধ্যে যাদের কোভিড-১৯-এর লক্ষণ দেখা গিয়েছিল তাঁদের হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। বাকি সকলকে হোম কোয়াকান্টিনে থাকতে বলা হয়।
করোনায় আক্রান্ত দেশ থেকে এসেছিল, এ রকম ৬০০ জনকে বাড়িতে থেকে বার হতে নিষেধ করে প্রশাসন। নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুশিয়ারি দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। এ ছাড়া রাস্তাঘাটে, দোকানে, বাজারে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং নিশ্চিত করেন করোনা পুলিশ ফাইটার্স নামের স্বেচ্ছাসেবকরা। শুরু থেকেই এই পদক্ষেপ নেওয়ায় গত ১২ দিনে জব্বলপুরে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২২৯। ১৩ জনের মৃত্যুও হয়েছে সে রাজ্যে।
আরও পড়ুন: কাজ গিয়েছে ৯০ লক্ষের, ভবিষ্যতে অন্ধকার দেখছে সব সমীক্ষাই
আরও পড়ুন: লকডাউনের সময়সীমা বাড়বে, সর্বদলীয় বৈঠকে ইঙ্গিত মোদীর