বিমান ও জাহাজ পাঠিয়ে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হবে ভারতীয়দের। —ফাইল চিত্র।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনের ভাড়া মেটানো নিয়ে তরজা চলেছে দিনভর। তার মধ্যেই এ বার নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার। ৭ মে থেকে বিমান ও জাহাজ পাঠিয়ে ধাপে ধাপে তাঁদের দেশে ফেরানো হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ফেরানো হবে কেবলমাত্র যাঁদের দেহে করোনার কোনও উপসর্গ নেই।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘‘করোনার প্রকোপে বিদেশ-বিভুঁইয়ে যে সমস্ত ভারতীয় আটকে রয়েছেন, ধাপে ধাপে তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবে ভারত সরকার। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে বিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজের বন্দোবস্ত করা হবে। কী ভাবে তাঁদের ফিরিয়ে আনা যায়, তার জন্য একটি বিধিবদ্ধ পন্থা তৈরি করা হয়েছে।’’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানায়, ‘‘কোন দেশে কত জন বিপন্ন অবস্থায় রয়েছেন, বিভিন্ন দেশে ভারতীয় দূতাবাস এবং হাইকমিশনগুলি তার তালিকা তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে। অর্থের বিনিময়ে এই পরিষেবা মিলবে। বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে ৭ মে থেকে সুবিধা মতো সময়ে বিমান পাঠানো হবে।’’
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ ২৫৭৩ জনের, দেশে করোনা আক্রান্ত ৪৩ হাজার ছুঁইছুঁই
আরও পড়ুন: রাজ্যে মৃত্যু বেড়ে ৬১, এ পর্যন্ত আক্রান্ত ১২৫৯, জানাল নবান্ন
করোনা কবলিত দেশ থেকে যাঁদের ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় চলছে, বিমান বা জাহাজে তোলার আগে তাঁদের প্রত্যেকের মেডিক্যাল স্ক্রিনিং হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রে। তাতে যাঁদের মধ্যে কোভিড-১৯ ভাইরাসের কোনও লক্ষণ মিলবে না, কেবল তাঁদেরই ফিরিয়ে আনা হবে। এই সংক্রান্ত যে স্বাস্থ্যবিধি কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা-ও মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছনোর পরও সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরতে পারবেন না ওই সব প্রবাসীরা। দেশে ফেরার পর আরোগ্য সেতু অ্যাপে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। এর পর একদফা মেডিক্যাল স্ক্রিনিং হবে তাঁদের। তার পর প্রয়োজন মতো ১৪ দিনের জন্য কোয়রান্টিনে পাঠানো হবে তাঁদের। কোনও হাসপাতাল বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিন সেন্টারে তাঁদের অর্থের বিনিময়ে রাখতে হবে। এই ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকেই। ১৪ দিন পর ফের পরীক্ষা করে দেখা হবে তাঁদের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস রয়েছে কি না। তার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।