Coronavirus in India

বাড়বে রোগী, সক্রিয় রেলও

ইতিমধ্যে দেশ জুড়েই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দেখে দ্রুততার সঙ্গে ৫২৩১টি কোচ কোভিড কেয়ার সেন্টারে পরিণত করার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০৪:০৪
Share:

৫২৩১টি কোচ কোভিড কেয়ার সেন্টারে পরিণত করার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল।—ছবি এএফপি।

লকডাউন ইতিমধ্যেই শিথিল হয়েছে বহু জায়গায়। আগামী দিনে আরও হবে। সে ক্ষেত্রে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যাও বাড়তে চলেছে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন এমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর আশঙ্কা, আগামী এক থেকে দু’মাসের মধ্যে গোটা দেশে রোগীর সংখ্যা প্রচুর বৃদ্ধি পাবে। তার পর অবশ্য সংক্রমণের ঊর্ধ্বগামী রেখচিত্র নীচের দিকে নেমে আসবে বলে তাঁর আশা।

Advertisement

লকডাউন শিথিল হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা যে বাড়বে, সে বিষয়ে নিশ্চিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। সেই কারণে কড়াকড়ি শিথিল হলেও মাস্ক পরা, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার উপরে জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যে ভাবে এখন রোজ আক্রান্ত বাড়ছে, তার ভিত্তিতে গুলেরিয়ার অনুমান, জুন-জুলাই মাসে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি হবে। তার পর তা কমতে থাকবে। তবে তাঁর মতে, পরীক্ষা বাড়ায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু ইতিবাচক দিক হল সংক্রমণের খবর গণ্ডিবদ্ধ এলাকা থেকেই বেশি আসছে। নতুন জায়গা থেকে নয়।

আজ বিএসএফ-এর দুই জওয়ান এবং সিআইএসএফ-এর এক অফিসার করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীতে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা এখন ৫০০-র কাছাকাছি। মৃত্যুর খবর এই প্রথম।

Advertisement

আরও পড়ুন: জুন-জুলাইয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে করোনা পরিস্থিতি, আশঙ্কা এমস ডিরেক্টরের

ইতিমধ্যে দেশ জুড়েই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দেখে দ্রুততার সঙ্গে ৫২৩১টি কোচ কোভিড কেয়ার সেন্টারে পরিণত করার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। ওই কোচগুলি দেশের ২১৫টি স্টেশনে দাঁড় করানো থাকবে। এর মধ্যে ৮৫টি স্টেশনে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে রেলই। বাকি ১৩০টি স্টেশনে স্বাস্থ্যকর্মী ও ওষুধ জোগানের দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে। রাজ্য রাজি থাকলে তবেই তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ওই স্টেশনগুলিতে কোচ পাঠানো হবে। কোন কোন স্টেশন রেলের দায়িত্বে থাকবে আর কোনগুলো রাজ্যের, সেটা রাজ্যগুলির আবেদন খতিয়ে দেখে স্থির করবে রেল।

আরও পড়ুন: ভোপালের ছায়া বিশাখাপত্তনমে, গ্যাস লিকে মৃত ১১, অসুস্থ ১০০০

স্টেশনগুলিকে অন্য ভাবেও দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণিতে রয়েছে ১৫৮টি স্টেশন। ওই স্টেশনগুলিতে কামরায় নিয়মিত জলের ব্যবস্থা ও কামরায় ব্যাটারি চার্জ করার সুবিধা থাকবে। এতে রাজ্যের কলকাতা, হুগলির কৃষ্ণপুর, মালদা টাউন, আসানসোল, রামপুরহাট, আলিপুরদুয়ার, নিউ কুচবিহার, নিউ জলপাইগুড়ি, আদ্রা, খড়্গপুরের মতো স্টেশন রয়েছে। আর দ্বিতীয় শ্রেণিতে কেবল কামরায় জলের ব্যবস্থা থাকবে। ওই তালিকায় রয়েছে হাওড়া, শিয়ালদহ, আজিমগঞ্জ, লালগোলা, নিউ আলিপুরদুয়ার ও শিলিগুড়ি।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement