প্রতীকী ছবি।
‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’। আপাতত এই প্রশ্নই উদ্বেগে রেখেছে দেশের চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, গবেষকদের। কারণ, ভারতের মতো জনবহুল দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হলে তার পরিণাম যে কী ভয়ঙ্কর হতে পারে, তার সাক্ষী ইটালি, স্পেন, আমেরিকা। এমন পরিস্থিতিতেই দিল্লির এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়ার দাবি, সারা দেশে না হলেও অন্তত কিছু কিছু এলাকায় শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। তাঁর মতে, ভারত আপাতত করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ‘স্টেজ-২ ও স্টেজ-৩’ এর মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছে। যদিও লকডাউন ও নজরদারি ঠিকমতো চললে ভয়ের কিছু নেই বলে আশ্বস্তও করেছেন এমস কর্তা।
২৪ মার্চ থেকে দেশে শুরু হয়েছে তিন সপ্তাহের লকডাউন। চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু তার পরে কি লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে? আপাতত এই প্রশ্নই দেশবাসীর কাছে বড় হয়ে উঠেছে। আশঙ্কাটা অবশ্য উড়িয়ে দেননি এমস কর্তা। জানিয়েছেন, ১০ এপ্রিল পরিস্থিতি বুঝে তার পরই এ বিষয়ে বলা সম্ভব। গুলেরিয়ার বক্তব্য, ‘‘১০ এপ্রিল চিত্রটা আমাদের কাছে আরও পরিষ্কার হবে। তার পরেই বলতে পারব, লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে সময় লাগবে।’’
কেন নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলছেন গুলেরিয়া? একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘‘কোথাও কোথাও আমরা দেখছি ব্যাপক হারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। মুম্বইয়ের মতো কিছু এলাকায় স্থানীয় ভাবে সংক্রমণের খবরও মিলছে। সূতরাং আমরা স্টেজ-২ এবং স্টেজ-৩ এর মাঝামাঝি অবস্থায় আছি।’’ তবে দেশের অধিকাংশ অংশই দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন গুলেরিয়া। গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হলেই করোনার সংক্রমণকে তৃতীয় পর্যায়ে বা স্টেজ থ্রি হিসেবে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: এক বছর ৩০% বেতন পাবেন না মন্ত্রী-সাংসদরা, নেবেন না রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালরাও
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের আইটি সেল ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে, তোপ মমতার
একই সঙ্গে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন এমস কর্তা। তাঁর কথায়, ‘‘স্থানীয় ভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণ অল্প কিছু পকেটে শুরু হয়েছে। তাই আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।’’ উঠে এসেছে দিল্লির তবলিগ জামাতের প্রসঙ্গও। সে বিষয়ে গুলেরিয়ার মত, জামাতে যোগ দেওয়া সবাইকে এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা সবাইকেই চিহ্নিত করে কোয়রান্টিন করা উচিত।