প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে রাজ্যে দ্রুত বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বুধবার বিকেলে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র এবং পঞ্জাবের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ় এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি ‘গভীর উদ্বেগজনক’।
উদ্বেগের কেন্দ্র হিসেবে আরও ৪টি রাজ্যকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে চিহ্নিত করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাত। ওই রাজ্যগুলিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী লেখচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের শুধুমাত্র বৃহন্মুম্বই পুরসভা অঞ্চলেই গত ২৪ ঘণ্টায় ৫,১২৫টি নতুন সংক্রমণের ঘটনার খোঁজ মিলেছে। মঙ্গলবার সেখানে ৩,৫১২ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। সোমবারের তুলনায় যা ছিল ৮ শতাংশ বেশি।
ইতিমধ্যেই ১৮টি রাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন রূপের সন্ধান মিলেছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে। এর মধ্যে ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া গিয়েছে করোনাভাইরাসের ব্রিটিশ প্রজাতি। এদিন পরীক্ষা হওয়া ১১ হাজার নমুনার মধ্যে ব্রিটিশ রূপ ছিল ৭৩৬টি। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৪টি, ব্রাজিলের রূপ ১টি।
তবে জিনগত পরিব্যক্তির ফলে করোনাভাইরাসের নয়া রূপ তৈরি হচ্ছে বলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনা টিকা সম্পর্কিত জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ভি কে পাল অবশ্য মনে করেন, রূপান্তরিত করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্টই। তাতে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা। তাঁর মতে, ‘‘রূপান্তর ঠেকানোর অন্যতম পথ হল ভাইরাসের সংক্রমণের চেন ভাঙা।’’
জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (এনসিডিসি) অধিকর্তা সুজিত কুমার বুধবার বলেন, ‘‘অতিমারি জনিত ক্লান্তিই এখন অতিমারি প্রতিরোধের পথে প্রধান অন্তরায়।’’ তাঁর মতে, আনলক পরবর্তী পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার গতি ফিরে আসায় মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিষয়গুলি প্রয়োজনীয় গুরুত্ব পাচ্ছে না। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।