প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এ বার বেঙ্গালুরুর গুগল কর্মী। তাঁকে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হেয়ছে। সেখানকার কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ অর্থাৎ বাড়ি থেকে কাজ করার বন্দোবস্ত করেছে গুগল। বছর ছাব্বিশের ওই যুবক সম্প্রতি গ্রিসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের বিভিন্ন শহরে ঘুরেছেন তিনি। অফিসও করেছেন। ফলে তিনি যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদেরও আলাদা করে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন। এই নিয়ে সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৭৫।
গুগলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “আমাদের বেঙ্গালুরু অফিসের এক কর্মী কোভিড-১৯ পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার আগে তিনি বেশ কিছু ক্ষণ অফিসে ছিলেন। তার পর থেকেই তাঁকে আলাদা করে রাখা হয়েছে।’’ ওই কর্মীর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের নিজেদেরই আলাদা থাকার নির্দেশিকা দিয়েছে মার্কিন এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। ডেল ও মাইন্ডট্রির পর এই নিয়ে দেশে তৃতীয় কোনও তথ্যপ্রযুক্তির করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হল।
গত মাসেই বিয়ে করেছেন আক্রান্ত যুবক। তার পর কয়েক দিন আগে গ্রিসে গিয়েছিলেন। তবে আশ্চর্যের বিষয়, গ্রিস থেকে যখন তিনি ফিরেছিলেন, তখন স্ক্রিনিংয়ে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। সেই কারণে তিনি অফিসেও যান। কিন্তু তার পর অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আবার পরীক্ষার পর করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়।
অন্য দিকে তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকেই চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইন-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে কর্নাটক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। যে ট্যাক্সিতে বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেটিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তার চালককেও কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসে ভারতে প্রথম মৃত্যু কর্নাটকের বৃদ্ধের
বৃহস্পতিবারই দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে কর্নাটকের ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধের। সম্প্রতি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই দেশে ফেরেন তিনি।