করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যবস্থা তেলেঙ্গনায়। ছবি: এএফপি।
দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২২৩-এ। যাঁদের মধ্যে ৩২ জন বিদেশি। শুরুর দিকে সংক্রমণের সংখ্যাটা খুব ধীর গতিতে হলেও দিন যত এগোচ্ছে সেই গতি বেড়েছে। শুক্রবারই নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫০ জন। যা এক দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
যে ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে ঘোষণা করেন, রবিবার ‘জনতা কার্ফু’ জারি করা হবে। ওই দিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন। এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েই স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশবাসীকে সহযোগিতা করার কথা বলেছে। ১০৭৫ টোল ফ্রি নম্বরও চালু করেছে মন্ত্রক। করোনা সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে এই নম্বরে ফোন করতে পারেন জনসাধারণ। এমনটাই জানিয়েছে মন্ত্রক।
অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য দেশবাসীকে বার বার বলা হচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে। শুধু তাই নয়, কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উত্সবে জমায়েত এড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে মন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক লব আগরওয়াল বলেন, “যাঁরা কোয়রান্টিনে যাচ্ছেন না তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যগুলোকে। কারণ এই মুহূর্তে একটা সঙ্কটময় পরিস্থিতি চলছে।”
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে সমস্ত অফিস বন্ধের নির্দেশ, দিল্লিতে বাজার বন্ধ তিনদিন
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে সরকারি হাসপাতালে চাপ বাড়ছে, প্রাইভেট ল্যাবগুলিকে দ্রুত পরীক্ষার অনুমতির আবেদন মমতার
শুক্রবারই মুম্বইয়ে সব অফিস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। দিল্লিতে সব শপিং মল বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। লখনউয়েও একই নির্দেশ জারি হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবাগুলো চালু থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি।