প্রতীকী ছবি।
টিকা নেওয়ার পরেও একই সঙ্গে করোনার আলফা এবং ডেল্টা রূপের শিকার হলেন অসমের এক মহিলা চিকিৎসক। তবে সামান্য উপসর্গ থাকলেও ওই মহিলা পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন। এমনকি তাঁকে হাসপাতালেও যেতে হয়নি। অসমের ডিব্রুগড়ের রিজিওনাল মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের এক শীর্ষ বিজ্ঞানী বি জে বোরকাকোতি বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের কাছে বোরকাকোতির দাবি, ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং পর্তুগালে একই সঙ্গে করোনার দুই রূপে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলেও ভারতে এখনও পর্যন্ত এ রকমের নজির দেখা যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় কোভিড কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসক ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীও গত মে মাসের গোড়ায় কোভিডে আক্রান্ত হন। তবে পরীক্ষার পর জানা যায়, পেশায় চিকিৎসক ওই মহিলার স্বামী করোনার আলফা রূপের শিকার হলেও তিনি একসঙ্গে দুই রূপেই আক্রান্ত। বোরকাকোতি বলেন, ‘‘করোনার দু’টি রূপের একটিতে কেউ একজন আক্রান্ত হতেই পারেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ২-৩ দিনের মধ্যে অন্য আর একটি রূপে আক্রান্ত হতে পারেন অনেকে। রোগীর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার আগেই ওই সংক্রমণ ঘটতে পারে।’’
ওই মহিলা চিকিৎসক দু’টি টিকা নেওয়ার এক মাসের পর ডেল্টা এবং আলফায় আক্রান্ত হয়েছেন। বোরকাকোতি বলেন, ‘‘নমুনা পরীক্ষার পর আমরা নিশ্চিত হই যে, মহিলা একসঙ্গে দু’টি রূপের শিকার। তাঁর জিনোম সিকোয়েন্সিংও করা হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অসমে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় বেশির ভাগ আক্রান্তের দেহে আলফা রূপের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। তবে এপ্রিল থেকে ডেল্টার সংক্রমণ লক্ষ করা যেতে থাকে। বোরকাকোতির ব্যাখ্যা, ‘‘চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে আলফা এবং ডেল্টা দু'টিরই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। হতে পারে, সে সময় অনেকেই করোনার দুটো ভিন্ন রূপের শিকার হয়েছেন। তবে একসঙ্গে দু’টি রূপে আক্রান্ত হলে তাকে ডুয়াল ইনফেকশন (জোড়া সংক্রমণ) বলা হয়।’’