প্রতীকী ছবি।
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের মধ্যেই দিল্লিতে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করায় অশনি সঙ্কেত দেখছেন রাজধানীর চিকিৎসকেরা। লকডাউন উঠতেই শপিং মল বা ট্রেনের ভিড় দেখে তাঁদের আশঙ্কা, দিল্লিতে ফের কোভিডের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। যদিও প্রশাসনের আশ্বাস, সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখলেই ফের বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। তা সত্ত্বেও শঙ্কা কাটছে না বহু চিকিৎসকের।
৫ সপ্তাহের কড়া লকডাউনের পর ১৩ জুন, রবিবার থেকে রাজধানীতে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এ ছাড়া, শহরতলির ট্রেনগুলিতে আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চালু করা হয়েছে। পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়েছে শপিং মল, দোকানপাট। অন্য দিকে, অফিস ও রেস্তরাঁ আংশিক খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজরী সরকার।
লকডাউন শিথিল হতেই মঙ্গলবার থেকে শপিং মল থেকে শুরু করে শহরতলির ট্রেনের কামরায় ভিড় উপচে পড়েছে। যা দেখে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। নয়াদিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অম্বরীশ মিথল টুইটারে লিখেছেন, ‘লকডাউন উঠে যেতেই গত সপ্তাহান্তে দিল্লির একটি নামকরা শপিং মলে প্রায় ১৯ হাজার মানুষ ভিড় করেছেন। আমরা কি পুরোপুরি উন্মাদ হয়ে গিয়েছি? ফের কোভিড-১৯-এর বিস্ফোরণ ঘটলেই সরকার, হাসপাতাল বা দেশের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার অপেক্ষায় থাকুন।’
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে দিল্লিতে এক সময় হু হু করে সংক্রমণ বেড়েছিল। কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন সঙ্কট থেকে শুরু করে হাসপাতালের শয্যা অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছিল। তবে লকডাউনের পাশাপাশি টিকাকরণ চলতে থাকায় মাস দুয়েক ধরেই গোটা দেশের মতো দিল্লিতেও সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়েছে। যদিও চিকিৎসকদের মতে, টিকার যোগ্য দেশের ৯৫ কোটি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫ শতাংশের টিকাকরণ হয়েছে। এ আবহে সামান্য শিথিলতায় ফের সংক্রমণের ঝড় উঠতে পারে। এ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে নেটমাধ্যমে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন বহু চিকিৎসক। অরবিন্দ সিংহ সইন নামে এক শল্য চিকিৎসকের টুইটারে মন্তব্য, ‘দিল্লিতে আনলক পর্ব আরও বৈজ্ঞানিক ভাবে করা যেত। আমরা ফের বিপদ ডেকে আনছি।’