Coronavirus in India

গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে বিতর্ক

সংক্রমিতদের নিরিখে বিএসএফের পরেই রয়েছে আসাম রাইফেলস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০২:৫৯
Share:

মিজোরামের স্বরাষ্ট্র দফতরের বক্তব্য, গোটা উত্তর-পূর্বে গণসংক্রমণ ঘটায় বড় ভূমিকা নিয়েছে বাইরে থেকে আসা বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত।

করোনা সংক্রমণ রুখতে নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে মিজোরামের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত শুরু হয়েছে আসাম রাইফেলসের।

Advertisement

মিজোরামের স্বরাষ্ট্র দফতরের বক্তব্য, গোটা উত্তর-পূর্বে গণসংক্রমণ ঘটায় বড় ভূমিকা নিয়েছে বাইরে থেকে আসা বাহিনী। সংক্রমিতদের নিরিখে বিএসএফের পরেই রয়েছে আসাম রাইফেলস। তাই প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ ও সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছে মিজোরাম।

কিন্তু সম্প্রতি আসাম রাইফেলসের একটি দল ভাইরেংতে এলাকায় জোর করে মিজোরামে প্রবেশ করে। তা নিয়ে বিস্তর জটিলতা দেখা দেয়। রাজ্য সরকার জানায়, মিজোরামের মতো ছোট রাজ্য যেখানে সাধ্য মতো অতিমারির বিরুদ্ধে লড়ছে সেখানে আসাম রাইফেলসের গা-জোয়ারি খুবই অন্যায়। দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য মিজোরাম যেখানে করোনায় এখনও কেউ মারা যাননি। আক্রান্তের সংখ্যাও হাজারে পা দেয়নি।

Advertisement

এ দিকে আসাম রাইফেলস পাল্টা বিবৃতি দিয়ে দাবি করে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধিকে সাধারণ নিয়মের বাইরে রেখেছে। সেখানে মিজোরাম সরকারের বাইরের বাহিনীর প্রবেশ রোখা অন্যায়। কারণ মিজোরামের সঙ্গে মায়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। আছে জঙ্গি ও মাদক কারবারিদের গতিবিধি। তাই আসাম রাইফেলস জওয়ানদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা অন্যায়। দেশের অন্য কোথাও নিরাপত্তা বাহিনী এমন বাধা পাচ্ছে না। তারা আরও জানায়, মিজোরামে আসাম রাইফেলস কোনও সামাজিক সংক্রমণ ঘটায়নি। জোখাওসাং এলাকায় তাদের নিজস্ব কোয়রান্টিন সেন্টার আছে।

এ দিকে অসমে পজ়িটিভিটি রেট এখন ৫.০৪ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ হাজারের বেশি। সুস্থতার হার ৭৩.৪০ শতাংশ। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২২১ জন। মৃত্যু হার ০.২৬ শতাংশ। অসমে ৩১১২ জন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত ন’জন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement