গণচিতা। ছবি—রয়টার্স।
দেশে দৈনিক মৃত্যু মে মাসে পৌঁছে গিয়েছিল ৪ হাজারের উপরে। তবে দৈনিক সংক্রমণ কম দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ গত ৫ দিন ধরেই রয়েছে ১ লক্ষের নীচে। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও নেমেছে ১১ লক্ষের নীচে। কিন্তু গত ৩ দিন দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা চোখ কপালে তুলতে পারে। হঠাৎ করে কী দেশে মৃত্যু বেশি হচ্ছে? না পুরনো মৃত্যুর হিসাব এত দিনে করার জেরে দৈনিক মৃত্যুতে এ রকম লাফ?
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে হতে মৃত্যু অল্প হলেও কমছিল। ১ জুন এবং ৫ জুন দৈনিক মৃত্যু ৩ হাজারের উপরে থাকলেও বাকি দিনগুলিতে তা ছিল ৩ হাজারের কম। এক সময় তা আড়াই হাজারের নীচেও নেমে যায়। কিন্তু ১০ জুন থেকেই বদলালো সেই চিত্র।
পটনা হাই কোর্টের নির্দেশে বিহার কোভিড মৃত্যু পর্যালোচনা করে। সেই অডিটে শেষ হতেই অতিরিক্ত ৩ হাজার ৯৭১ জনের কোভিড আক্রান্তের মৃত্যুর কথা জানায় বিহার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিনে, গত ১০ জুন যোগ হয় এই মৃত্যুর সংখ্যা। যার জেরে ১০ জুন দেশের দৈনিক মৃত্যু ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। গোটা অতিমারি পর্বে যা কখনও হয়নি। ১১ জুনও একই চিত্র। দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি। অথচ ওই দিন বিহারের মৃত্যুর সংখ্যা ৫০-এরও কম। কিন্তু মহারাষ্ট্রে ১৯০০-র বেশি। ১২ জুন দেশের মৃত্যু ৪ হাজার ছাড়াল। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই ২ হাজার ৬১৯। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রও পুরনো মৃত্যুর হিসাব যোগ করায় এ ভাবে বেড়েছে দেশের দৈনিক মৃত্যু। তাই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু যখন কিছুটা হলেও কমেছে। তখন বিহার, মহারাষ্ট্রের পুরনো মৃত্যুর হিসাবই বদলে দিয়েছে চিত্র।