গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও আট হাজারের ঘরেই থাকল তা। কিন্তু দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়ে আবার এক শতাংশের কাছে পৌঁছে গেল। দৈনিক মৃত্যুও কমে নামল ২০০-র ঘরে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আট হাজার ৩০৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১১ জনের। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কিছুটা কমে হল ৯৮ হাজার ৪১৬।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড পরীক্ষাও অনেক কমেছে দেশে। হয়েছে মোট আট লক্ষ ৮৬ হাজার ২৬৩ জনের। নতুন সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ০.৯৪ শতাংশ। সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন আট হাজার ৮৩৪ জন।
কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও, ফের নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নতুন রূপ ওমিক্রন। দেশের মধ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল কর্নাটকে। সেখানে দুই ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁদের মধ্যে এক জন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওই রাজ্যে ফিরেছিলেন। এবং পরে তিনি দেশ ছেড়ে দুবাই চলে যান। দ্বিতীয় জন স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু তিনি বিদেশে যাননি। কী ভাবে তিনি আক্রান্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। গুজরাতের জামনগরে আরও এক জনের দেহে ওমিক্রন পাওয়া যায় শনিবার। রবিবার সকালেই মুম্বইয়ে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের দেহে এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। এর পর ধরা পড়ে দিল্লিতেও। আক্রান্ত ব্যক্তি তানজানিয়া থেকে দিল্লিতে ফিরেছিলেন। কোভিড-এর এই নতুন রূপকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারত-সহ একাধিক দেশ আন্তর্জাতিক বিমানে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে।