ছবি রয়টার্স।
স্বেচ্ছাসেবক বাছার কাজ শেষ। চলতি সপ্তাহেই ভারতে শুরু হতে চলেছে মানবদেহে অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের শেষ ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। ভারতে ওই প্রতিষেধক আগামী দিনে ব্যবহার করা সম্ভব হবে কি না, তা চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এ শুরু হতে চলা ওই পরীক্ষার উপরেই মূলত নির্ভর করছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইডিশ-ব্রিটিশ ওষুধ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা হাত মিলিয়ে যে কোভিশিল্ড প্রতিষেধক বানিয়েছে, তা ভারতে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দায়িত্ব পেয়েছে পুণের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। চণ্ডীগড়ের প্রতিষ্ঠানটিতে মোট একশো জন স্বেচ্ছাসেবকের উপরে ওই প্রতিষেধকের প্রয়োগ হওয়ার কথা। প্রথম ব্যাচে থাকবেন ৯ জন স্বেচ্ছাসেবক। তাঁদের এই সপ্তাহেই টিকা দেওয়া হবে। পরের ব্যাচগুলিতে ১০ থেকে ১৫ জন করে স্বেচ্ছাসেবককে রাখা হবে। প্রত্যেককে ০.৫ মিলিলিটার টিকার ডোজ় দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ় প্রয়োগের ২৮ দিন বাদে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে।
প্রায় এক মাস আগেই এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হওয়ার কথা ছিল চণ্ডীগড়ের সংস্থাটিতে। কিন্তু কেন্দ্রের তথ্য সুরক্ষা ও নজরদারি কর্তৃপক্ষের সবুজ সঙ্কেত না-আসায় স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি। সেই সময়েই ব্রিটেনে এক স্বেচ্ছাসেবক কোভিশিল্ড নেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গোটা বিশ্বেই ওই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ করে দেয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা, যার প্রভাব পড়ে ভারতেও। আটকে যায় সিরামের মাধ্যমে ওই টিকার প্রয়োগ। পরে গবেষণা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য জমা দিয়ে ফের গবেষণা শুরুর অনুমতি পায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভারতেও ছাড়পত্র দেওয়া হয় সিরামকে। সূত্রের মতে, এ দেশে গবেষণার কাজ প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেলেও এ বছরের শেষের মধ্যে কোভিশিল্ডের টিকা বাজারে আনার লক্ষ্যমাত্রা রেখে এগোচ্ছে সিরাম।
আরও পড়ুন: ‘ইমিউনিটি’ নিয়ে ভুল ধারণাই বাড়াচ্ছে সংক্রমণের হার
আরও পড়ুন: ‘মিউটেশনেই বেশি সংক্রামক হচ্ছে ভাইরাস’