প্রতীকী ছবি।
এখনও পর্যন্ত মোট টিকাকরণের সংখ্যা ৮ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি। গত ১৬ জানুয়ারি গণ টিকাকরণ অভিযান শুরুর পরে দৈনিক গড়ে ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের নিরিখে যা দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তু সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা।
পরিসংখ্যান বলছে ডিসেম্বরের মাঝপর্বে আমেরিকায় শুরু হয়েছিল করোনা টিকাকরণ। এখনও পর্যন্ত সেখানে প্রথম দফার টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৩০ লক্ষ জন। ব্রিটেনে ডিসেম্বরের গোড়ায় শুরু হওয়া টিকাকরণ অভিযানে এখনও পর্যন্ত প্রথম দফার টিকা দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ২০ লক্ষকে।
আমেরিকায় দৈনিক গড়ে ১৪ লক্ষ ৬৬ হাজার এবং ব্রিটেনে ৩ লক্ষ ৬ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। জনসংখ্যার নিরিখে আরেক বড় দেশ ব্রাজিলে দৈনিক গড়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার। যদিও মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার ওই দেশ। প্রথম স্থানে আমেরিকা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে এ পর্যন্ত প্রথম দফার টিকা পেয়েছেন ৭ কোটি ৭০ লক্ষ। ১ কোটি ১০ মানুষ দু’দফার টিকাই পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু দেশের মোট জনসংখ্যার নিরিখে যা একেবারেই পর্যান্ত নয় বলে মনে করছেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ভারতের তুলনায় আমেরিকার জনসংখ্যা এক-চতুর্থাংশ। সেখানে জনসংখ্যার ৩০ শতাংশকেই টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে এখনও পর্যন্ত। ফলে জো বাইডেনের দেশ অনেকটাই বিপন্মুক্ত। ভারতের ক্ষেত্রে যা বলে যাবে না।