হাসপাতালে এই দৃশ্যই ধরা পড়েছে। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
অক্সিজেনের অভাবে চার দিনে পর পর ৭৫ জন রোগীর মৃত্যু। তার পরেও চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি উঠে এল গোয়া মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল থেকে। সারি সারি করোনা রোগী এমন ভাবে মেঝেয় শুয়ে সেখানে, যে পা রাখাই দায় হাসপাতালে। জায়গার অভাবে হাসপাতালের স্টোররুমেও ঠেসে ভরে দেওয়া হয়েছে রোগীদের।
বৃহস্পতিবারই গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক সঙ্গে ১৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। তার দু’দিন আগে মারা যান ২৬ জন করোনা রোগী। পর পর এই দুই ঘটনায় খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে হাসপাতালটি। তার পরেও হাসপাতালের যে ছবি উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে, তাতে গোয়ার প্রথম সারির এই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
সংবাদমাধ্যমে হাসপাতালে যে ছবি উঠে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ওয়ার্ডে যাওয়ার যে করিডর, সেখানে মেঝের উপর সারি দিয়ে শুয়ে রয়েছেন কোভিড রোগীরা। কেউ পিচবোর্ট বিছিয়ে শুয়ে রয়েছেন। কেউ আবার খালি মেঝেতেই। কারও কারও পাশে দেওয়ালে হেলান দিয়ে রাখা রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। কিন্তু আশেপাশে কোনও ডাক্তার বা নার্সের দেখা নেই।
একই অবস্থা স্টোররুমেও। ঠেলেঠুলে দু’-চারটি শয্যা ঢোকানো হলেও, বেশির ভাগ রোগীই মেঝেতে শুয়ে। এই মুহূর্তে গোয়ায় সংক্রমণের হার ৫১ শতাংশ। সেই পরিস্থিতিতে এই দৃশ্য কাঠগড়া তুলেছে গোয়া সরকার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির সহ-সভাপতি দুর্গাদাস কামাট জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত, মুখ্য সচিব এবং নোডাল অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা।