অ্যান্টনি ফসি। —ফাইল চিত্র।
পর্যাপ্ত জোগান যখন নেই, ২টি টিকার মধ্যেকার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো ছাড়া গতি নেই বলে এ বার মন্তব্য করলেন আমেরিকার হোয়াইট হাউসের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফসি। দেশ জুড়ে টিকার ঘাটতির যে ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে আসছে, তাতে বৃহস্পতিবার কোভিশিল্ডের ২টি টিকার মধ্যেকার ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করে দিয়েছে কেন্দ্র। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় চারিদিকে। সেই পরিস্থিতিতেই এমন মন্তব্য করলেন ফসি।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফসি। তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি যখন অত্যন্ত সঙ্কটজনক, এই মুহূর্তে ঠিক যেমনটি ভারতে, তখন অন্য উপায় খুঁজতেই হবে। অন্তত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনার। টিকাই যখন নেই, ব্যবধান বাড়ানো ছাড়া গতি কী? তাই আমার মনে হয়, ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত যুক্তিসম্মত। কারণ তাতে অন্তত একটি করে হলেও টিকা পাবেন মানুষ।’’
দেশের সমস্ত নাগরিকের জন্য টিকা উৎপাদন করার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে, কিন্তু তার জন্য সঠিক পদ্ধতিতে সরকারকে তার যাবতীয় সংস্থানকে কাজে লাগাতে হবে বলে মত ফসির। তাঁর কথায়, ‘‘বাইরের দেশ এবং বড় বড় সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে উৎপাদন শক্তি বাড়াতে হবে ভারতকে। বৃহত্তম না হলেও টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতই শ্রেষ্ঠ জায়গা। তাই দেশের নাগরিকদের জন্য যাবতীয় সংস্থান, উপায়কে কাজে লাগাতে হবে সরকারকে।’’
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ শুরু হলেও, টিকার জোগানে ঘাটতির অভিযোগ উঠে আসছে শুরু থেকেই। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার কোভিশিল্ডের ২টি টিকার মধ্যেকার ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই নিয়ে গত ৩ মাসে দ্বিতীয় বার ব্যবধান বাড়ানো হল। তাতেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। ব্যর্থতা ঢাকতেই ইচ্ছাকৃত ভাবে ব্যবধান বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে। ফসির মতে, ‘‘হাতে টিকা না থাকলে, লুকনোর আর কী আছে?’’