বছর সাঁইত্রিশের সাংবাদিক এমসের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দেন। প্রতীকী ছবি।
করোনা-আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা চলছিল দিল্লির এমসে। তাতে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছিলেন দিল্লির এক তরুণ সাংবাদিক। তা সত্ত্বেও মাঝেমধ্যে বিচলিত হয়ে পড়তেন তিনি। তা নিয়ে মনোবিদ এবং স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি ওষুধপত্রও চলছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। সোমবার দুপুরে এমসের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই সাংবাদিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণ সিসৌদিয়া নামে বছর সাঁইত্রিশের ওই সাংবাদিক এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ এমসের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দেন। হাসপাতালকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে আইসিইউ-তে নিয়ে গেলে সেখানে তরুণকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় একটি হিন্দি দৈনিকের সাংবাদিক তরুণ উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরার বাসিন্দা ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ২৪ জুন তাঁকে এমসে ভর্তি করানো হয়। এমসের জয়প্রকাশ নারায়ণ অ্যাপেক্স ট্রমা সেন্ট্রার (জেপিএনএটিসি)-তে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
আরও পড়ুন: ৭৫ শতাংশ বেসরকারি চাকরি সংরক্ষিত রাজ্যবাসীর জন্য, খসড়া প্রস্তাব পাশ হরিয়ানায়
আরও পড়ুন: চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ডোভালের দীর্ঘ ভিডিয়ো কলেই কাটল জট
এ দিন এমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোভিড চিকিৎসায় বেশ সাড়া দিচ্ছিলেন তরুণ। তা সত্ত্বেও মাঝে মাঝে বেশ বিচলিত হয়ে পড়তেন তিনি। তা নিয়ে মনোবিদ এবং স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল তরুণের। তাঁর পরিবারকে এ বিষয়টিও জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কোভিড রোগী ১ লক্ষ ছাড়ালেও আতঙ্কিত না হতে দিল্লিবাসীকে পরামর্শ কেজরীর
আরও পড়ুন: ভুটানের জমির দাবি ছাড়ল চিন, হুঁশিয়ারি ভারতকে
একটি বিবৃতিতে এমস জানিয়েছে, “কোভিড সংক্রমণে হলেও তা থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তরুণ। তাঁকে আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছিল। তবে এ দিন দুুপুরে আচমকাই নিজের রুম থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যান তিনি। হাসপাতালকর্মীরা তাঁর পিছনে ছুটে গেলে পাঁচতলার জানলার কাচ ভেঙে নীচে ঝাঁপ দেন তরুণ।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, তাঁকে উদ্ধার করে আইসিইউ-তে নিয়ে আসা হয়। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি তরুণকে।