অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: পিটিআই।
রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থতা, রোগীদের সুষ্ঠু চিকিৎসা না-পাওয়া, মৃতদেহ সৎকারে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ ঘিরে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, দিল্লির অবস্থা ভয়ঙ্কর, আতঙ্কজনক ও করুণ।
করোনার মোট সংক্রমণের নিরিখে দেশে তিন নম্বরে রয়েছে দিল্লি। সেখানে গড়ে রোজ প্রায় দেড় হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আজ আক্রান্ত ২১৩৭, মৃত ৭১। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, দিল্লির হাসপাতালগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। রোগীরা কাঁদছেন, কিন্তু তাঁদের দেখার কেউ নেই। আক্রান্তেরা ভর্তির জন্য পাগলের মতো দৌড়োদৌড়ি করছেন, অথচ সরকারি হাসপাতালে শয্যা খালি পড়ে রয়েছে। মানুষের হয়রানি কমাতে হাসপাতালের পরিকাঠামো গড়ে তোলা, শয্যার সংখ্যা বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, দিল্লিতে করোনা রোগীরা মারা গেলে তাঁদের ঠিকমতো সৎকার হচ্ছে না। পরিবারকেও জানানো হচ্ছে না। মৃতের সংখ্যা চাপা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে। দিল্লির তিনটি বিজেপি-শাসিত পুরসভার হিসেবে মৃতের সংখ্যা ২০৯৮। সেখানে দিল্লি সরকারের হিসেবে সংখ্যাটা ১০৮৫। এই যে হাজারখানেক মানুষের ফারাক, তাঁদের পরিবার আদৌ মৃত্যুর কথা জানে কি না, প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যই মান্যতা পাবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার করুন: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
আরও পড়ুন: মৃতের অমর্যাদায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট, বাংলা-সহ ৫ রাজ্যকে নোটিস
দিল্লি সরকার কেন কোভিড পরীক্ষা কমাল, তা নিয়েও আজ প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি কেজরীবাল বলেছিলেন, উপসর্গহীনদের করোনা পরীক্ষার দরকার নেই। তার পর থেকেই পরীক্ষা কমতে থাকে রাজধানীতে। আজ শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, মুম্বই-চেন্নাইয়ে যেখানে রোজ
পরীক্ষার সংখ্যা ১৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৭ হাজার করা হয়েছে, সেখানে দিল্লিতে কেন পরীক্ষার সংখ্যা সাত হাজার থেকে পাঁচ হাজারে নামল? আদালত বলেছে, কেউ পরীক্ষা করাতে চাইলে ফেরানো যাবে না। পরীক্ষার সুষ্ঠু ব্যবস্থা করার দায় রাজ্য সরকারেরই।