CoWin App

তৃতীয় দফা টিকার আগে তথ্যভাণ্ডার গড়ায় জোর দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের

কোউইন অ্যাপ ব্যবহার করে রাজ্যগুলিকে ঠিক সময়ে ঠিক তথ্য মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

তৃতীয় দফার টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে আজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভুষণ। আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে প্রত্যেককে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। আজ সেই সংক্রান্ত এক বৈঠকে রাজ্যগুলিকে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। যেখানে বলা হয়েছে, কোউইন অ্যাপ ব্যবহার করে রাজ্যগুলিকে ঠিক সময়ে ঠিক তথ্য মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে। কারণ ভুল তথ্যের ফলে গোটা প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা সংশয়ের মুখে পড়বে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরি করে সেগুলিও নথিভুক্ত করতে হবে অ্যাপে। জানাতে হবে বিভিন্ন হাসপাতালের হাতে থাকা টিকার জোগান ও মূল্য। টিকাকরণ কেন্দ্রের ভিড় সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের সাহায্য নিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।

Advertisement

টিকাকরণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা ছাড়াও কোভিড মোকাবিলায় আজ রাজ্যগুলিকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তার প্রথমেই রয়েছে রেকর্ড সংখ্যক শয্যা বাড়ানো এবং তা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখা। উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করতে তাঁদের সেফ হোমে নিভৃতবাসে রাখার ব্যবস্থা করা। বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকা রোগীদের টেলি-মেডিসিন পরিষেবা দেওয়া। সর্বোপরি পর্যাপ্ত অক্সিজেন, ভেন্টিলেশন ও ওষুধের জোগান রাখা। বড় হাসপাতালগুলিকে নিজস্ব অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকা আশা কর্মী ও অন্যান্যদের নিয়মিত ও যথাযথ পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা
বলা হয়েছে।

গত বছরের তুলনায় এ বার চ্যালেঞ্জ যে আরও কঠিন, তা স্বীকার করে নিয়েই আজ কোভিডের থাবা থেকে গ্রামগুলিকে রক্ষা করার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘পঞ্চায়েতি রাজ দিবস’ উপলক্ষে এ দিন এক ভার্চুয়াল সভায় ‘স্বামিত্ব যোজনা’-র অধীনে ‘ই-প্রপার্টি কার্ড’ বিলি করা শুরু করেন মোদী। আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিভিন্ন পঞ্চায়েতের সদস্যরা যোগ দেন এই সভায়। মোদী বলেছেন, ‘‘আমার এই বিশ্বাস রয়েছে, কোনও একটি বিশেষ ক্ষেত্র যদি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম জয়ী হতে পারে, তবে তা হবে ভারতের গ্রামাঞ্চল, গ্রামের নেতৃত্ব। গ্রামের মানুষই দেশকে ও বিশ্বকে দিশা দেখাবে।’’ যদিও প্রতি দিন রেকর্ড মাত্রায় আক্রান্ত বৃদ্ধি ও রাজ্যে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর শোচনীয় অবস্থা সামাল দিতে গিয়ে কার্যত দিশাহারা কেন্দ্র। আজও নয়া রেকর্ড তৈরি করে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। ভারতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। গত বছরের শেষের দিকে করোনা মোকাবিলায় মোদী সরকারের ভূমিকার প্রংশসা করেছিল হু। গত কাল সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেছেন, ‘‘একটি ভাইরাস যে কীভাবে ধ্বংস ডেকে আনতে পারে ভারতের পরিস্থিতি তার প্রমাণ দিচ্ছে।’’ আজ এমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া পরামর্শ দিয়েছেন, যে যে এলাকায় কোভিড সংক্রমণ ১০ শতাংশের বেশি, সেখানে লকডাউন জারি করা আবশ্যক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement