ফাইল চিত্র।
কোভিডের আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ে শিশু ও অল্পবয়সিরা বেশি করে আক্রান্ত হবে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করলেও, মোদী সরকার এখনও সরকারি ভাবে তা মানতে রাজি নয়। কিন্তু সাবধানের মার নেই ভেবে আজ শিশুদের চিকিৎসার পরিকাঠামো বাড়াতে মোদী সরকারই ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচের ঘোষণা করল। শিশুদের জন্য বেড, আইসিইউ বেড, অক্সিজেনের জোগান, পর্যাপ্ত ওষুধ, কোভিডের পরীক্ষা, নজরদারি, অ্যাম্বুল্যান্সের মতো ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে, কম সময়ের মধ্যে তৈরি করে ফেলতেই এই টাকা খরচ হবে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ ঘোষণা করেছেন, শিশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে নজর রেখে চলতি বছরে জনস্বাস্থ্যে অতিরিক্ত ২৩,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। এর মধ্যে কেন্দ্র খরচ করবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। গত এপ্রিল-মে মাসে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় হাসপাতালে আইসিইউ বেড ও অক্সিজেনের অভাবে হাহাকার উঠেছিল। কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি হলেও সেখানে ডাক্তার-নার্স মিলছিল না। কোভিড পরীক্ষার ফল মিলতেও এক সপ্তাহ সময় লেগে যাচ্ছিল।
শিশুদের ক্ষেত্রে একই সমস্যা হলে তার রাজনৈতিক খেসারত দিতে হবে বুঝে মোদী সরকার তৃতীয় ঢেউয়ে এর পুনরাবৃত্তি এড়াতে চাইছে। অর্থমন্ত্রী আজ জানিয়েছেন, বাড়তি অর্থে ইনটার্ন, রেসিডেন্ট চিকিৎসক, মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া, এমবিবিএস-এর শেষ বছরের পড়ুয়া, নার্সিং কলেজের পড়ুয়াদের নিয়োগে অর্থ সাহায্য করা হবে। জেলা ও মহকুমা স্তরেও যাতে অক্সিজেনের অভাব না হয়, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে।
বড় শহরের বাইরে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরিতে মোদী সরকার আজ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ গ্যারান্টি প্রকল্প ঘোষণা করেছে। ৮টি মেট্রোপলিটন শহরের বাইরের এলাকায় ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণে এই সুবিধা মিলবে। চালু প্রকল্পের সম্প্রসারণে ৫০% পর্যন্ত এবং নতুন প্রকল্পে ৭৫% পর্যন্ত ঋণ গ্যারান্টি মিলবে। ব্যাঙ্কে সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৭.৯৫%।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বলেন, ‘আজকের ঘোষণার ফলে যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবায় অভাব রয়েছে, সেখানে পরিকাঠামো বাড়বে, বেসরকারি লগ্নি হবে, ডাক্তার-নার্স নিয়োগ হবে।’ কিন্তু সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, ৭.৯৫% হারে সুদের অর্থ স্বাস্থ্য পরিষেবার খরচ আরও বাড়বে। তাঁর বক্তব্য, অতিমারির সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য মানুষের নিখরচায় ভাল মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রয়োজন।