প্রতীকী ছবি।
একটি ডোজ় সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের এবং আর একটি ডোজ় ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের। এ ভাবে কোভিডের দুই টিকা মিশিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের উপরে তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সুপারিশ করল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও-র সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। বিষয়টিতে চূড়ান্ত ছাড়পত্র অবশ্য দেবে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই।
৩০০ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকের উপরে কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিন ‘ককটেল’-এর পরীক্ষার আর্জি জানিয়েছিল ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ। আজ কমিটির বৈঠকে ওই আর্জি নিয়ে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়, একই ব্যক্তি দু’টি আলাদা প্রতিষেধকের ডোজ় নিতে পারেন কি না, তা দেখতে পরীক্ষাটি চালানো হোক। দু’টি আলাদা টিকার প্রয়োগে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রে বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার টিকার প্রথম ডোজ়ের পরে মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছেন। তবে মিশ্র টিকায় এখনও ভারত সরকার সবুজ সঙ্কেত দেয়নি।
কমিটির বৈঠকে এ দিন আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন এবং তাদেরই তৈরি নাকে দেওয়ার সম্ভাব্য টিকার (বিবিভি১৫৪) মিশ্র প্রয়োগ নিয়ে পরীক্ষা চালাবে। ৫ থেকে ১৭ বছরের ছেলেমেয়েদের উপরে বায়োলজিক্যাল-ই সংস্থার টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগেও নীতিগত সম্মতি দেওয়া হয়েছে। জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার তৃতীয় দফায় পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আর্জিও প্রথমে আলোচ্যসূচিতে ছিল। কিন্তু বিদেশি সংস্থাটি সেই আর্জি প্রত্যাহার করে নেয়।
গত ১৪ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত চালানো আইসিএমআর-এর সেরো-সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, ১১টি রাজ্যের জনসংখ্যার অন্তত দুই-তৃতীয়াংশের শরীরে তৈরি হয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি। দেশ জুড়ে করোনা কতটা ছড়িয়েছে, তা দেখতে এটি চতুর্থ দফার সেরো-সমীক্ষা। ৭০টি জেলাকে নিয়ে এই সমীক্ষার ফল গত কাল প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে দেখা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশে সমীক্ষার আওতায় আসা জনসংখ্যার ৭৯ শতাংশের শরীরেই করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তার পরে রয়েছে রাজস্থান (৭৬.২%), বিহার (৭৫.৯%) এবং গুজরাত (৭৪.৬%)। কেরলে এই হার মাত্র ৪৪.৪%। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি ধরা পড়ছে, তাঁদের মধ্যে টিকা নেওয়া মানুষেরাও রয়েছেন। বস্তুত, কেরলের ৫০ শতাংশের বেশি জনতা অন্তত একটি ডোজ়ের টিকা পেয়েছেন। তা সত্ত্বেও উদ্বেগজনক ভাবে সংক্রমণের হার বাড়ছে ওই রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে কেরলে ছয় সদস্যের দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। সপ্তাহান্তে সম্পূর্ণ লকডাউন হবে কেরলে।