ছবি: পিটিআই।
দেশের আশি শতাংশ করোনা আক্রান্তের মধ্যে উপসর্গ নেই বা থাকলেও খুব সামান্য উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। উপসর্গহীন আক্রান্তদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় থাকলেও পরীক্ষা নীতিতে আপাতত কোনও বদল আনার বিষয়ে ভাবছে না কেন্দ্র। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে হটস্পট এলাকাগুলিতে যে ভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সরাসরি আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন বা যাঁদের জ্বর-সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের পরীক্ষা করে দেখার যে নীতি, তা-ই মেনে চলা হবে।
শুরু থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, হটস্পটের পাশাপাশি অন্যত্র যেখানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানেও পরীক্ষা করে দেখা উচিত সরকারের। এই পরিস্থিতিতে কাল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানান, রাজধানীর প্রায় ১৮৬ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে, যাঁদের কারও শরীরে উপসর্গ ছিল না। আজ প্রাত্যহিক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে, আইসিএমআর-এর পদস্থ কর্তা রামন গঙ্গাখেদকর জানান, গোটা পৃথিবীতেই দেখা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে আশি শতাংশের উপসর্গ দেখা যায় না। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন ওঠে, তা হলে আপাত ভাবে যাদের সুস্থ বলে ভাবা হচ্ছে, তাদেরও তো পরীক্ষা করে দেখা উচিত। জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানান, আশি শতাংশ সংক্রমিত ব্যক্তিদের শরীরে খুবই সামান্য উপসর্গ দেখা যায়। বা কারও একেবারেই তা দেখা যায় না। ১৫ শতাংশের শরীরে প্রবল ভাবে উপসর্গের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পাঁচ শতাংশ রোগীকে আইসিইউ পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়।
কিন্তু একাধিক রাজ্যেই অভিযোগ উঠেছে, উপসর্গ না থাকলে পরীক্ষা করছে চাইছে না সরকারি পরীক্ষাগারগুলি। ফলে প্রকৃত আক্রান্তদের বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চায়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পরে গঙ্গাখেদকর বলেন, ‘‘দেশে সকলের পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব নয়। প্রতিদিন যাঁদের পরীক্ষা হচ্ছে, তাঁদের বড় অংশ সংক্রমিত নন বলে পাওয়া যাচ্ছে। তাই সীমিত সাধ্যের মধ্যেই যা কিট রয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: লকডাউন শিথিল করা নিয়ে কেরলকে ভর্ৎসনা কেন্দ্রের
আরও পড়ুন: লকডাউন শিথিল করা নিয়ে কেরলকে ভর্ৎসনা কেন্দ্রের
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)