ছবি: সংগৃহীত।
কোভিড-১৯ নামক ‘অপদেবতার’ হাত থেকে মানবজাতিকে ‘রক্ষা করতে’ ৩০ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে অসম জুড়ে গণ-উপাসনার ডাক দিল অসমের বৈষ্ণব সত্রগুলির যৌথমঞ্চ ‘সত্র মহাসভা’, প্রধান ৮টি সত্রের সত্রাধিকার ও ১৬টি ধর্মীয় সংগঠন।
কেন ৩০ জুলাই পৌনে সাতটা? আয়োজকদের যুক্তি, সমুদ্রমন্থনে ওঠা বিষ নিজের কণ্ঠে ধারণ করে যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন নীলকন্ঠ মহাদেব। শেষ পর্যন্ত শ্রাবণ মাসের একাদশীতে ভগবান বিষ্ণু মহাদেবের কণ্ঠে স্পর্শ করে যন্ত্রণার উপশম ঘটান। অমৃতস্পর্শে গরলযন্ত্রণা নির্মূল হওয়ার সেই তিথিতেই করোনা নির্মূলের উদ্দেশ্যে অসমের ঘরে-ঘরে, মন্দিরে, নামঘরে জ্বালানো হবে প্রদীপ। বাজবে শঙ্খ, ঘণ্টা, উঠবে উলুধ্বনি। পুজো চলবে ১৫ মিনিট।
এর যুক্তি কী? সত্র মহাসভার সভাপতি জ্যোতির্ময় প্রধানী বলছেন, “ওষুধ ও প্রতিষেধক বার করতে বিজ্ঞানীরা তাঁদের মতো করে গবেষণা চালাচ্ছেন। এই মারণ-জীবাণু থেকে মুক্তি পেতে রাজ্যেবাসী প্রার্থনা করলে ক্ষতি কী!” করোনার সংক্রমণ থেকে উপাসনা অবশ্য এই প্রথম নয়। নাগাল্যান্ড ও মিজোরামে করোনামুক্তির কামনায় রাজ্য জুড়ে গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা হয়েছে এর আগে।
আরও পড়ুন: আনলক-৩: অগস্ট থেকে খুলতে পারে সিনেমা হল, মেট্রোর দরজা বন্ধই
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় অসমই এগিয়ে। এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১,০৮৬। সুস্থ হয়েছেন ২৩,০৫৫ জন। সুস্থতার হার ৭৪.১৭%। অসমের বরপেটা জেলা কারাগারে আরও ১৪ বন্দির দেহে করোনা মেলায় রাজ্যের ১০টি জেলে মোট সাড়ে পাঁচশো কয়েদি এখন করোনা আক্রান্ত। গৌহাটি হাইকোর্টে রাজ্যের সব কারাগারের সব বন্দির করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।
নাগাল্যান্ডে আক্রান্ত ১৩৩৯ জন। মৃত ৫। আজ থেকে ডিমাপুরে আট দিন ও কোহিমায় সাত দিনের পূর্ণ লকডাউন শুরু হয়েছে। অরুণাচলে আক্রান্ত ১১২৬ জন। মৃত ৩ জন। মিজোরামে আক্রান্ত ৩৬১ জন। কলকাতা, মুম্বইয়ে মিজোরামের মানুষ মারা গেলেও মিজোরামে এখনও কেউ মারা যাননি। মণিপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ২২১২ জন। কেউ মারা যাননি। মেঘালয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬৯ জন। তার মধ্যে ৩১৯ জনই বিএসএফ ও নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মী। মৃতের সংখ্যা ৫। ত্রিপুরায় আক্রান্ত ৩৭৭৮ জন। মৃত ১১ জন।