প্রতীকী ছবি।
সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই ছাড়পত্র পেতে চলেছে জাইডাস সংস্থার প্রতিষেধক জাইকোভ ডি। ওই প্রতিষেধকটি ছাড়পত্র পেলে তা হবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দ্বিতীয় ভারতীয় প্রতিষেধক। তিন ডোজের ওই প্রতিষেধক দিতে সূচ ফোটানোর প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থা। সংস্থার দাবি, তাদের প্রতিষেধক প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১২-১৮ বয়সিদের উপরেও প্রয়োগ করা যাবে।
তৃতীয় পর্যায়ের প্রয়োগে দেশের ৫০টি কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপরে জাইকোভ ডি প্রতিষেধেক প্রয়োগ করে সংস্থা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় ৬৬% কার্যকর ওই প্রতিষেধক। ওই প্রয়োগ নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ায় ১ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে এ দেশে ব্যবহারের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া-র কাছে আবেদন জানায় সংস্থা। সূত্রের মতে, গত সপ্তাহে জনসন ও জনসনকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরে এ সপ্তাহে ছাড়পত্র হবে জাইকোভ-ডি প্রতিষেধকটিকে। সংস্থা জানিয়েছে, বার্ষিক প্রায় ১০-১২ কোটি প্রতিষেধক এ দেশে উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে জাইডাস। যা ব্যবহার করা হবে ভারতেই। জাইকোভ ছাড়পত্র পেলে তা সব মিলিয়ে দেশে ষষ্ঠ প্রতিষেধক হিসেবে ছাড়পত্র পাবে।
জনসনকে বাদ দিলে অধিকাংশ করোনা প্রতিষেধক দুই ডোজ়ের। সেখানে জাইকোভ-ডি প্রতিষেধকটি তিন ডোজ়ের। প্রথম প্রতিষেধকটি নেওয়ার পরে যথাক্রমে ২৮ ও ৫৬ দিনের মাথায় কোনও ব্যক্তিকে বাকি দুই ডোজ় নিতে হবে। ওই প্রতিষেধকের আরেকটি বিশেষত্ব হল এটি ‘ইন্ট্রা ডার্মাল’ প্রতিষেধক। যার অর্থ চামড়া ও পেশির মাঝে ওই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। ‘ইন্ট্রা ডার্মাল’ হওয়ায় ওই প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য সূচের প্রয়োজন নেই। বিশেষ ধরনের ‘নিডল ফ্রি ইনজেক্টর’ –এর মাধ্যমে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হয়ে থাকে।
ভারত এখনও শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণে ছাড়পত্র দেয়নি। তবে এ দেশে ইতিমধ্যেই ২-১৮ বছরের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের উপরে গবেষণা তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। জাইডাস সংস্থার দাবি, তাদের টিকা প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ছোটদের (১২-১৮বছর) উপরেও সমান ভাবে কার্যকর। যদিও সংস্থার ওই দাবি খতিয়ে দেখার কাজ এখনও শুরু হয়নি বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে বড়দের সঙ্গে এ বার আগামী মাস থেকে ছোটদের টিকা দেওয়া শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র। সংস্থার দাবি, দ্রুত তারা জরুরি ভিতিত্তে ব্যবহারের প্রশ্নে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘ছোটদের জন্য প্রথমে কোভ্যাক্সিন ও পরবর্তী ধাপে জাইডাসের টিকা ছাড়পত্র পেলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও শক্তিশালী হবে।’’