মুম্বইয়ে দাঁড়িয়ে ট্রেন। ছবি: রয়টার্স
৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশ জুড়ে সমস্ত যাত্রিবাহী ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার, লোকাল-সহ সমস্ত রকম ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। আজ মধ্যরাতের পর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকাতার মেট্রো পরিষেবাও।
রেলের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় সমস্ত মেল, এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হল। তবে কলকাতা ও শহরতলিতে এখনও লোকাল ট্রেন চলছে। পাশাপাশি কলকাতা মেট্রো ও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও চলছে। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত চলার পর সেগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরিষেবা বন্ধ থাকবে আগামী ৩১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত।’’
তবে পণ্য পরিষেবা অর্থাৎ মালগাড়ির ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। সেগুলি চলবে। অন্য দিকে আজ রবিবার ভোর চারটের আগে যে সব এক্সপ্রেস বা মেল ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, সেগুলি গন্তব্যে পৌঁছনোর পরেই যাত্রা থামাবে।
রেল মন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তি।
আরও পড়ুন: করোনার ষষ্ঠ বলি পটনার যুবক, সদ্য ঘুরে গিয়েছেন কলকাতায়
রেলের এই ঘোষণার পর পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সব ধরনের ট্রেন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।’’ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষের বক্তব্য, ‘‘লোকাল প্যাসেঞ্জার, দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ থাকাবে।’’ মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘আজ রবিবার মেট্রো পরিষেবা চলবে। তবে কাল থেকে বন্ধ থাকবে।’’
আরও পড়ুন: রাজপথের চেহারা হার মানাল ধর্মঘটকে, সংক্রমণ এড়াতে মরিয়া জনতা সামিল কার্ফু-এ
জনতা কার্ফুর জন্য এমনিতেই রবিবার সমস্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বাতিল হয়েছে বহু দূরপাল্লার ট্রেনও। লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। শুধুমাত্র দূরপাল্লার যে ট্রেনগুলি যাত্রা শুরু করেছিল, সেগুলি চলেছে রবিবার। তার মধ্যেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪১। ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে একাধিক রাজ্যে আংশিক ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়া আটকাতেই এ বার দেশের লাইফলাইন ট্রেন পরিষেবাকেই পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করা হল।