করা হচ্ছে করোনা পরীক্ষা। ছবি—পিটিআই।
মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে সংক্রমণ কমতেই চার লক্ষের নীচে নেমেছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও লাগামছাড়া। বিপুল সংক্রমণের জেরে সক্রিয় রোগী হু হু করে বাড়ছে ওই রাজ্যগুলিতে। কিন্তু মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে তা কমছে। সক্রিয় রোগীর নিরিখে এত দিন দেশের শীর্ষে ছিল মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রকে ছাপিয়ে এখন শীর্ষে উঠে এসেছে কর্নাটক।
মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটক— দু’টি রাজ্যেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষের বেশি। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি সক্রিয় রোগী কমেছে। আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়াতেই কমেছে সক্রিয় রোগী। এখন সে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫০৭ জন। কিন্তু কর্নাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজারেরেও বেশি। এই বৃদ্ধির জেরে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ছাড়িয়েছে। সক্রিয় রোগীর নিরিখে দেশের তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। সেখানে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৪৩ জন। উত্তরপ্রদেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন ২ লক্ষাধিক হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার সক্রিয় রোগী কমেছে সে রাজ্যে। আক্রান্ত বৃদ্ধির জেরে রাজস্থানেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে।
এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষের বেশি। দৈনিক আক্রান্ত তামিলনাড়ুতে বৃহস্পতিবার ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে তা ২০ হাজারের বেশি। তবে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহারে দৈনিক সংক্রমণে কিছুটা হলেও লাগাম পড়েছে। যার জেরে সক্রিয় রোগীও কমেছে ওই রাজ্যগুলিতে।