প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের চরিত্র বদল স্বাস্থ্য দফতরকে চিন্তায় ফেলেছে। অসমে এক ব্যক্তির তিন বার করোনা হওয়ার ঘটনা সামনে এল। পরিবারের দাবি, দু’বার নেগেটিভ হওয়ার পরে বাড়ি ফিরেও তৃতীয় সংক্রমণে মারাই গিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সম্প্রতি জানান, কোভিডের চিকিৎসার পরে, কোভিড নেগেটিভ হয়ে বাড়ি ফিরেও অনেকে ফের গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন। মারাও যাচ্ছেন।
সরকারি ভাবে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা যেখানে ৩৭০, সেখানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরে মৃতের সংখ্যা মেলালে তা হাজারের বেশি। আবার অন্য কঠিন রোগে মৃত কোভিড পজ়িটিভের সংখ্যাও প্রচুর। তার উল্লেখ সরকারি তালিকায় থাকছে না।
নগাঁওয়ের শিঙাপটনী এলাকার ৬৮ বছর বয়সি এক ব্যক্তি অগস্টে নগাঁও সিভিল হাসপাতালে কোভিড পজ়িটিভ ধরা পড়ার পরে চিকিৎসায় সুস্থ হন। ফলও নেগেটিভ আসে। কিন্তু সুস্থ হলেও তাঁর দুর্বলতা, অসুস্থতা কাটেনি। পরিবার জানায়, ১২ অগস্ট বুকে ব্যথা অনুভব করায় গুয়াহাটির হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
১২ দিন কোভিড চিকিৎসার পরে নমুনা নেগেটিভ হওয়ায় বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ৪ সেপ্টেম্বর আবার অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। ফের গুয়াহাটির হাসপাতালে আনা হয়। কোভিড পরীক্ষার পরে চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু ৬ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃতদেহ নগাঁও নিতে চাইলেও গ্রামে আতঙ্ক ছড়ানোর আশঙ্কা থাকায় শেষ পর্যন্ত গুয়াহাটির শ্মশানেই দেহ দাহ করা হয়।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, এমন অনেক ব্যক্তি আছেন, যাঁদের শরীর থেকে সংক্রমণ তিন বার পরীক্ষার পরেও নেগেটিভ হচ্ছে না। আবার অনেকের অ্যান্টিজ়েন পরীক্ষায় ফলস্ নেগেটিভ দেখাচ্ছে। কিন্তু জীবাণু ভিতরে থেকে যাচ্ছে। কড়া স্টেরয়েডে করোনা চলে গেলেও শারীরিক অনেক জটিলতা থেকেই যাচ্ছে।
অসমে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,২৮,২৪৪। সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯,০৭৩ জন। গুয়াহাটিতে প্রতি দিন গড়ে ৬০০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.২১ শতাংশ। সুস্থতার হার ৭৭.৩ শতাংশ। মৃত্যুহার ০.২৯ শতাংশ। অসমে ৪০৯৯ জন পুলিশকর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ১৬ জন পুলিশকর্মী।
মেঘালয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে। অরুণাচলে ৮, নাগাল্যান্ডে ১০। মণিপুরে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৩৮। সেখানে ১৭১১ জন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।