গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
টিকাকরণের প্রস্তুতির মধ্যে দেশে দৈনিক করোনা পরিসংখ্যানে ওঠানামা চলছেই। দৈনিক আক্রান্ত কখনও ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কখনও আবার নেমে আসছে ১৬ হাজারে। তবে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় প্রতিদিন বেশি সংখ্যক মানুষের সুস্থ হয়ে ওঠায় খানিকটা হলেও স্বস্তি মিলছে।
রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৬৪৫ জন। এর আগে, গত দু’দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ২২২ এবং ১৮ হাজার ১৩৯। সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ২৮৪ মানুষ কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন।
এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৩৫। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। এই মুহূর্তে দেশে সংক্রমণের হার ২.২১ শতাংশ, গতকাল যা ছিল ১.৯৯ শতাংশ।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আরও পড়ুন: সাধারণের ভয় কাটাতে ১০০ ছুঁইছুঁই স্বামীর সঙ্গে করোনা টিকা নিলেন নবতিপর রানি
সুস্থতার নিরিখে অন্যান্য দেশের তুলনায় সুবিধাজনক জায়গায় ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ২৯৯ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট আক্রান্তের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ হাজার ৯৫০ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৯৬.৪২ শতাংশ।
নোভেল করোনার প্রকোপে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ৫৭ জন রোগী। ২২ জন মারা গিয়েছেন কেরলে। কলকাতায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জন রোগী মারা গিয়েছেন ছত্তীসগঢ়ে। দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে ১২ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৯৯ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। তবে বিশ্বতালিকায় প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকার তুলনায় ভারতে প্রাণহানি অনেকটাই কম। আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৮৪ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ২ হাজার ৬৩১ করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে করোনার টিকা দিতে চান মমতা, খরচ নিয়ে প্রশ্ন
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)