গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ছুঁতে চলল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৯৭০। গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাফে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৬৭ জন। অন্য দিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের। ফলে দেশে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬৪৯। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭ হাজার ৯২০ জন।
দেশে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। আগামী ১৭ মে এই দফার মেয়াদ শেষ হবে। দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে এবং সেই সঙ্গে করোনার সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজ্যগুলোও নানা পদক্ষেপ করছে।
দেশে করোনার সংক্রমণের শুরু থেকেই সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের। তা সে সংক্রমণের দিক থেকেই হোক বা করোনায় মৃত্যু সংখ্যায়। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী এই রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ৫২৪। মৃত্যুর নিরিখেও দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে এই রাজ্য। মোট মৃতের সংখ্যা ১০১৯। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬০৫৯ জন।
আরও পড়ুন: হাতে এক নয়া পয়সাও নয়, পরিযায়ী-পাতে শুধুই চাল, ডাল
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনায় মৃত আরও ৮, তিন অঙ্কে কলকাতা
সংক্রমণের নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬৭৪ জন। এর পরই রয়েছে গুজরাত। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৯৫৯১ জন। মৃত্যুর নিরিখেও মহারাষ্ট্রের পরই এই রাজ্য। গুজরাতে ইতিমধ্যেই ৫৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাতের পর রয়েছে দিল্লি। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার। আক্রান্তের নিরিখে এর পর রয়েছে রাজস্থান (৪৫৩৪), মধ্যপ্রদেশ (৪৪২৬), উত্তরপ্রদেশ (৩৯০২) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ (২২০৫)। করোনার সংক্রমণ হাজার ছুঁতে চলেছে এমন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে বিহার। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯৪। কর্নাটক (৯৮৭), জম্মু-কাশ্মীর (৯৮৩)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৭৭। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭৬৮ জন। যদিও রাজ্য সরকারের হিসেব বলছে, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৩ জনের।