নতুন আক্রান্ত ১৮ হাজারে আটকে, মোট আক্রান্তের প্রায় সাড়ে ৯৬ শতাংশ সুস্থ

এখনও অবধি দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৩৯ জন। মোট আক্রান্তে বিশ্বের প্রথম আমেরিকা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ১০:৫৩
Share:

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গত দু’দিন ধরেই দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১৮ হাজারের ঘরেই আবদ্ধ। দৈনিক মৃত্যুও ২৫০-র কমই। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই সওয়া ২ লক্ষের নীচে। মোট সুস্থের সংখ্যাও ১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। চুম্বকে এটাই দেশের করোনা চিত্র।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ২২২ জন। এখনও অবধি দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৩৯ জন। মোট আক্রান্তে বিশ্বের প্রথম আমেরিকা। সেখানে মোট আক্রান্ত ২ কোটি ১৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এখনও সেখানে রোজ গড়ে ২ লক্ষ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভারতের পিছনে তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলেও দৈনিক সংক্রমণ গত এক মাসে আবার বেড়েছে। সেখানে মোট আক্রান্ত ৮০ লক্ষ ১৩ হাজার।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

Advertisement

করোনাভাইরাস দেশে এখনও অবধি ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৯৮ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২২৮ জন। দেশে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে (৪৯,৯৭০)। কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে তা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। দিল্লিতে তা সাড়ে ১০ হাজার পার করেছে। মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (৯,৯০২), উত্তরপ্রদেশ (৮,৪৬৯), অন্ধ্রপ্রদেশও (৭,১২৭)।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

এ সবের পাশাপাশি দেশে সুস্থতার হার শুরু থেকেই বেশি। দেশে কোভিড রোগীর সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১ কোটি ৫৬ হাজার ৬৫১ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ২৫৩ জন। এই সুস্থতার জেরে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা হয়েছে ২ লক্ষ ২৪ হাজার ১৯০ জন। দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৯৫১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমণের হার ১.৯৯ শতাংশ।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে গত ক’দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২৬ জন। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৯ জন। যদিও এর মধ্যে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement