(বাঁ দিকে) আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আবার ‘মুখোমুখি বিতর্ক’ সভা চান ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস। শনিবার এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ‘মুখোমুখি বিতর্কের’ জন্য সরাসরি ট্রাম্পকে আহ্বানও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। এর আগে কমলার সঙ্গে ট্রাম্প একটি ‘মুখোমুখি বিতর্কে’ অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে পরাজিত হন। তার আগে জো বাইডেনের সঙ্গেও বিতর্কসভায় অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার পর ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী পরিবর্তন হয়। নতুন প্রার্থীর সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিতর্কের জন্য মুখোমুখি বসতে নারাজ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। তবে নাছোড় কমলাও। প্রত্যাখ্যানের পরেও রবিবার আবার একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে বিতর্কে বসার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত সেই আহ্বানের জবাব আসেনি।
অন্য দিকে, পৃথক একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, তিনি এ বছরই শেষ বারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন। এ বছর পরাজিত হলে পরে আর তিনি এই পদের জন্য লড়বেন না। এই নিয়ে পর পর তিন বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ট্রাম্প। এক বার জিতেছেন, এক বার পরাজিত হয়েছেন। তৃতীয় বারও জয়ের আশা নিয়েই লড়াইয়ে নেমেছেন বলে জানিয়েছেন।
আগামী নভেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থীর মধ্যে ‘মুখোমুখি বিতর্কের’ আয়োজন করা হয়ে থাকে। বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী থাকাকালীন ‘মুখোমুখি বিতর্কে’ অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু সেই বিতর্কসভায় বাইডেনকে একেবারেই চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। অভিযোগ, তিনি অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। মাঝে মাঝে কথার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন। ওই বিতর্কসভার পর নানা মহলে ঠাট্টার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। পরে তিনি নিজের দুর্বলতার কথা স্বীকারও করে নেন। ওই বিতর্কসভার পরেই ডেমোক্র্যাটিক দলের অন্দরে বাইডেনের প্রার্থিপদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অনেকে প্রকাশ্যেই তাঁর ক্ষমতায় সন্দেহ ব্যক্ত করেছিলেন। তার পর দলের তরফে প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়। নতুন প্রার্থী হন আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা। ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী বদলের পর ট্রাম্পের উপর চাপ আগের চেয়ে বেড়েছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। অনেকেই বলছেন, বাইডেনের চেয়ে অনেক শক্তিশালী প্রার্থী কমলা। আমেরিকার বিভিন্ন সমীক্ষাতেও দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
কমলার ‘মুখোমুখি বিতর্কের’ আহ্বানে দ্বিতীয় বারের জন্য সাড়া না দিলেও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অংশ নিচ্ছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হলে কী করবেন? ট্রাম্প বলেন, ‘‘না, আমার সেটা মনে হয় না। এটাই আমার শেষ লড়াই। আশা করি, আমরা সফল হব।’’