Kolkata Doctor Rape and Murder

আরজি কর-কাণ্ডে ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিল আইএমএ-র কলকাতা শাখা, প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন সহ-সভাপতি

আইএমএ-র কলকাতা শাখার সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কৌশিক বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, আরজি কর-কাণ্ডে সংগঠনের ভূমিকা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:১৫
Share:

(বাঁ দিকে) আইএমএ-র কলকাতা শাখার দফতর। ওই শাখার সহ-সভাপতি কৌশিক বিশ্বাস (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরেও ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিল সর্বভারতীয় চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ-র কলকাতা শাখা। দিল্লি থেকে নির্দেশ আসার আগে কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন সংগঠনের কলকাতা শাখার সহ-সভাপতি কৌশিক বিশ্বাস। আইএমএ কলকাতার সভাপতিকে ইমেল করে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। রাজ্য শাখাকেও ইমেল করে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

পদত্যাগের পর সংবাদমাধ্যমে কৌশিক বলেন, ‘‘আমি আইএমএ-র কলকাতা শাখার সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। সেই মর্মে একটি ইমেল সংগঠনের সভাপতিকে পাঠিয়েছি। রাজ্য কমিটিকেও সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছি।’’ কেন এই সিদ্ধান্ত? কৌশিক বলেন, ‘‘আরজি করে যা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএ-র কলকাতা শাখার ভূমিকা খুবই হতাশাজনক ছিল। সেটাই আমার এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ। গত দেড় মাসে আইএমএ-র কলকাতা শাখা তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমি এটা মেনে নিতে পারছিলাম না। সহ-সভাপতি হিসাবে এই নিষ্ক্রিয়তার দায় আমি এড়াতে পারি না। তাই ইস্তফা দিলাম।’’

সংগঠনের অন্দরের বেশ কিছু কাজ মেনে নিতে পারছিলেন না বলেও জানান কৌশিক। তাঁর অভিযোগ, যে গোষ্ঠী আইএমএ-র কলকাতা শাখার অন্দরে সক্রিয়, তাদের কাজ মেনে নিতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। তা-ও এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ। কৌশিকের কথায়, ‘‘বর্তমানে আইএমএ-র কলকাতা শাখা যে বা যাঁরা চালান, তাঁরা যে বিশেষ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, তাদের সঙ্গে আমি কাজ করতে পারছি না।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ আইএমএ-র কলকাতা শাখার সদস্য ছিলেন। বর্তমানে আরজি কর-কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই ঘটনার সঙ্গে নাম জড়ানোর পর সন্দীপকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় আইএমএ কলকাতা। কৌশিকের অভিযোগ, সংগঠনের কলকাতা শাখার তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কোনও পদক্ষেপ সন্দীপের বিরুদ্ধে করা হয়নি। দিল্লির নির্দেশে তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছিল। কৌশিক বলেন, ‘‘আমার মত ছিল, দিল্লির নির্দেশ আসার আগেই সন্দীপকে সরানো হোক। তা মানা হয়নি। পরে দিল্লি আইএমএ থেকে নির্দেশ আসে এবং তা কার্যকর করা হয়।’’

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ৯ অগস্ট থেকে কর্মবিরতি পালন করছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সম্প্রতি সেই কর্মবিরতি আংশিক তোলা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারেরা জরুরি পরিষেবায় যোগ দিয়েছেন। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সন্দীপ সিবিআইয়ের হেফাজতেই রয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement