ছবি সংগৃহীত।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়র একটি টুইটকে ‘ভুয়ো’ বলে চিহ্নিত করল টুইটার।
কৃষক আন্দোলনের একটি ফুটেজ সম্প্রতি টুইট করেছিলেন অমিত। সেটিকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ বলেছে টুইটার। অর্থাৎ, মালবীয় যে এডিট করা ভিডিয়ো পোস্টটি করেছিলেন, আমজনতাকে তা জানিয়ে দিল এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থা। অনেকেই মনে করছেন, অমিতই হলেন ভারতের প্রথম রাজনীতিক, যাঁর টুইট-এর ফ্যাক্ট চেক করল টুইটার।
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী চলতি কৃষক আন্দোলনের একটি ছবি টুইট করেছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছে, এক বৃদ্ধ আন্দোলনকারীকে লাঠিপেটা করতে উদ্যত এক পুলিশকর্মী। গত ২৮ নভেম্বর ওই ছবিটির সঙ্গে ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ টুইট করেন অমিত। তাতে দেখা গিয়েছে, পুলিশকর্মী ওই আন্দোলনকারী কৃষককে মারছেন না। ভিডিয়োর নীচে অমিত লিখেছেন, ‘পুলিশকর্মী কৃষককে স্পর্শও করেননি’। কিন্তু পরে অবশ্য অনেক ফ্যাক্ট চেকিং সাইট পুরো ভিডিয়োটি প্রকাশ করে। তাতে বোঝা যায়, লাঠিপেটার অংশটি অমিত তাঁর টুইটে বাদ দিয়েছেন। টুইটারের এই পদক্ষেপের পরে কংগ্রেস ও আপের পাশাপাশি, নেট নাগরিকদের একাংশও অমিতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কপিল নামে এক ব্যক্তির টুইট, ‘‘ভারতে ফেক নিউজের তকমা দেওয়া শুরু করল টুইটার। ভারতে প্রথম কাকে এই তকমা দেওয়া হল— ভারতে ফেক নিউজ কারখানার কিংপিন অমিত মালবীয়কে।’’
অবশ্য ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ তকমার বিরোধী অনেকের প্রশ্ন, রাহুলও অনেক ‘ভুয়ো ছবি’ পোস্ট করেন। অমিতের সমর্থনে যাঁরা টুইট করেছেন তাঁরা বলছেন, কংগ্রেস নেতা যে পুলিশকর্মীর ছবি পোস্ট করেছেন, তিনি লাঠি চালিয়েছিলেন বটে কিন্তু ওই প্রবীণ কৃষকের গায়ে লাগেনি। ওই ছবিটি তুলেছিলেন পিটিআইয়ের রবি চৌধরি। তিনি বলেন, ‘‘ওই সময় লাঠিচার্জ করছিল পুলিশ। আমি যে দিক থেকে ছবি তুলেছি, সে দিক থেকে নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না, পুলিশের ব্যাটন ওই কৃষকের গায়ে লেগেছিল না লাগেনি।’’