রাজস্থানের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হলে রোগীর ধর্ম লিখতে হচ্ছে ফর্মে। চলতি মাসেই জয়পুরের সওয়াই মান সিংহ (এসএমএস) মেডিক্যাল কলেজ ও তার সঙ্গে যুক্ত সব হাসপাতালে এই নিয়ম চালু হয়েছে। কিন্তু কেন?
এসএমএস হাসপাতালের সুপার ডি এস মিনার বক্তব্য, ‘‘এই তথ্য থেকে বোঝা যাবে, যাঁরা গোমাংস খান তাঁদের কী ধরনের রোগ হচ্ছে। নিরামিষাশীদের মধ্যেই বা কোন রোগ বেশি। এই তথ্যভাণ্ডার ভবিষ্যতে চিকিৎসা গবেষণায় কাজে লাগবে।’’
ব্রিজমোহন শর্মার মতো স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সমাজকর্মীরা ফর্ম থেকে ধর্মের নতুন কলামটি বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হলে ধর্মের কথা ফর্মে লিখতে হয় দীর্ঘদিন ধরেই। তা নিয়ে কখনওই বিতর্ক হয়নি। কিন্তু রাজস্থানে মিনারা যে ভাবে বিষয়টির সঙ্গে গোমাংস খাওয়া, সূর্যের আলোর অভাবে মুসলিম মহিলাদের ভিটামিন ডি-র অভাবের কথাকে উদাহরণ হিসেবে সামনে টানছেন, তার পিছনে বিশেষ উদ্দেশ্য দেখতে পাচ্ছেন সমাজকর্মীদের অনেকে।