আইএএস কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ। —ফাইল চিত্র।
বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগে এ বার এক আইএএস কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের। প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক। বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২২ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য ওই কোচিং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই কোচিং প্রতিষ্ঠান অতীতে তাদের বিজ্ঞাপনে দু’টি দাবি করেছিল। প্রথমত বলা হয়েছিল, ২০২২ সালের ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তাদের প্রতিষ্ঠানের ২০০-র বেশি পরীক্ষার্থী সুযোগ পেয়েছেন। অপর দাবি, ইউপিএসসি, আইএএস কোচিংয়ে দেশের মধ্যে তারাই সেরা।
বিভ্রান্তিকর ওই বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে কোচিং সেন্টারটির জবাব তলব করে উপভোক্তা সুরক্ষা পর্ষদ। সেই সময় তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০ জন পরীক্ষার্থী সফল হওয়ার নথি দেখাতে পারেনি তারা। দেখা যায়, ওই বছর ইউপিএসসি পরীক্ষায় সেন্টারের ১৭১ জন পরীক্ষার্থী সফল হয়েছিলেন। তার মধ্যে অনেকে আবার কোচিং সেন্টারের নিয়মিত পড়ুয়াও ছিলেন না।
উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, সফল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১০২ জন সেখান থেকে কেবল ‘ফ্রি ইন্টারভিউ গাইডেন্স’ নিয়েছিলেন। ৫৫ জন প্রস্তুতি পরীক্ষা ‘ফ্রি টেস্ট সিরিজ়ে’ অংশ নেন। বাকিদের মধ্যে ন’জন নিয়মিত পড়ুয়া ছিলেন এবং পাঁচ জন বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্মারক অনুসারে বিনামূল্যে কোচিং পেতেন। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ১৭১ জন সফল পরীক্ষার্থীর মধ্যে সিংহভাগই প্রিলিমিনারি ও মেনস পরীক্ষা ওই প্রতিষ্ঠানের কোনও সাহায্য ছাড়াই পাশ করেছেন।
কিন্তু ওই কোচিং সেন্টার থেকে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, সেখানে সফল পরীক্ষার্থীরা কোন কোর্সটি করেছেন, তার কোনও উল্লেখ ছিল না। এমনকি প্রিলিমিনারি ও মেনস পরীক্ষাও যে প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ছাড়া পাশ করেছেন, তা-ও বিজ্ঞাপনে উল্লেখ নেই। ফলে ওই বিজ্ঞাপনে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে বলে মনে করছে উপভোক্তা সুরক্ষা পর্ষদ।