প্রতীকী ছবি।
সম্মতির ভিত্তিতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যৌন সম্পর্কের বিষয়টি পকসো আইনে এখনও অস্পষ্ট একটা বিষয়। একটি ধর্ষণের মামলার রায় দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল বম্বে হাইকোর্ট।
২০১৭ সালে ১৫ বছরের খুড়তুতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ১৭ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। প্রথমে মামলা দায়ের করা হলেও পরে কিশোরী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া জবানবন্দি জানায়, তার সম্মতিতেই একাধিক বার দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাতেও নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি।
ওই মামলায় অভিযুক্তকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার সমস্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারপতি সন্দীপ কে শিন্ডে ওই সাজা খারিজ করে দেন। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক ওই তরুণের জামিনও মঞ্জুর করা হয়। সেই মামলা প্রসঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি আইনত এখনও ‘অস্পষ্ট’। কারণ পকসোয় (অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌন নির্যাতন রোধী আইন) নাবালিকার ‘সম্মতিকে’ কখনও সম্মতি বলে ধরা হয় না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে, নাবালিকার বয়ানের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেও পরে নিজেই নিজের বয়ান থেকে সরে এসেছে সে।