(বাঁ দিক থেকে) অরবিন্দ কেজরীওয়াল, সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। —ফাইল চিত্র।
জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরে খবরে এসেছিলেন প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই সুকেশ জানালেন, তাঁর কাছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে। সেই প্রমাণের জোরে তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাক্ষীও হতে পারেন!
সুকেশ এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। প্রায় ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত তিনি। বলিউডের অভিনেত্রী জ্যাকলিন ছাড়াও সুকেশের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বলিউডের আরও অভিনেত্রীর। এর মধ্যে নোরা ফতেহিও রয়েছেন। এ হেন সুকেশের কাছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে? তিহাড়ের বন্দির দাবি, ‘‘কেজরীর দুর্নীতির হাঁড়ি এ বার হাটে সর্বসমক্ষে ভাঙবে।’’
এ ব্যাপারে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে সুকেশ লিখেছেন, কেজরীওয়ালই হলেন দিল্লির আবগারি দুর্নীতির মূলচক্রী। এমনকি, সুকেশ এ-ও লিখেছেন যে, সম্প্রতি এই একই মামলায় গ্রেফতার তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতাকে তিহাড়ে বিলাসবহুল ভাবে থাকার ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন কেজরী। তাঁর দাবি, তিনি যে প্রমাণ দেবেন, তাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং দুর্নীতিতে তাঁর সহযোগীদের এক অন্য রূপ দেখতে পাবেন সবাই। যদিও সেই রূপ আসলে কী? তা প্রেসবিবৃতিতে স্পষ্ট করেননি সুকেশ।
বিবৃতির শেষাংশে সুকেশ ফিল্মি ঢঙে লিখেছেন, ‘‘ফিল্ম অভি বাকি হ্যায়, প্রিয় কেজরীওয়ালজি। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, এখন খেল খতম। ক্লাইম্যাক্স এসে গিয়েছে। আপনার সমস্ত সাজানো কথা, আর নাটক এ বার শেষ। এ বার তিহাড়ে নিজের ভাই-বোনেদের কাছে চলে আসুন।’’
তবে সুকেশ যে হেতু এক জন প্রতারক, তাই তাঁর এই প্রেসবিবৃতিকে এবং কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়াকে কতটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করা হবে তা নিয়ে ধন্ধে তদন্তকারীরা। আপাতত কেজরীওয়ালকে ৬ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার কেজরীওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না।
কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ, তিনি শুধু আবগারি দুর্নীতি রূপায়ণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তা নয়, তার পাশাপাশি ওই দুর্নীতি থেকে আসা লাভের অঙ্কও ঘরে তুলেছিলেন। দিল্লির এই আবগারি দুর্নীতিতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।